Logo
Logo
×

সারাদেশ

কৃষক লীগ নেতাকে গুলি করায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

Icon

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০২:৩৭ এএম

কৃষক লীগ নেতাকে গুলি করায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

কে. এম সালাহ উদ্দীন কামাল। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে. এম সালাহ উদ্দীন কামালসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে গুলি, হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১৬ মে রাতে বাঁশখালী থানায় কৃষক লীগ নেতা ইলিয়াছ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহার সুত্র জানা যায়, ৯ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলা সাধনপুর বানীগ্রাম নতুন বাজার এলাকায় মিছিল সহকারে জ্ঞাত-অজ্ঞাত ৩০/৪০ লোকজন সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াছ (৪০) ও তার বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিছ (৬৫)কে প্রকাশ্যে গুলি, হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ সময় দা, কিরিচ ও লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত কৃষক লীগ নেতা মো. ইলিয়াছ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয় ২০১৫ সালে বাঁশের কেল্লার এডমিন চেয়ারম্যান কে এম সালাউদ্দিন কামালের ভাই এম জিয়া উদ্দিন ফাহাদকে জঙ্গি হিসেবে গ্রেফতার করেছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার অভিযোগে কৃষক লীগ নেতা মো. ইলিয়াছ ও তার বাবাকে ৯ মে প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন। তার ওপর হামলার প্রতিবাদে গত ১২ মে রোববার রাত ৮টায় বাণীগ্রাম নতুন বাজারে বাঁশখালী উপজেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছিল।

উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ভিপি মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম আতিকসহ আরও অনেক এ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। 

হামলার শিকার কৃষক লীগ নেতা মো. ইলিয়াছের বাবা মো. ইদ্রিছ বলেন, আমিও ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও হামলায় আহত হয়েছিলাম। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশখালী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। 

এ বিষয়ে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাউদ্দিন কামালের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগীরা সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে ১নং আসামী হিসেবে এজাহারে দিয়েছে। ওই মামলায় তার আরও ১৮ জনের উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম