গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি-সেক্রেটারি-কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম

গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি-সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ পাঁচ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিবাদীরা হলেন- বারের সাবেক সভাপতি আহসান উদ্দিন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার, কোষাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান।
এছাড়া অর্থ আত্মসাতে তাদের সহযোগী হিসেবে সাবেক লাইব্রেরি সম্পাদক মো. রওশন আলী ও সাবেক মহিলা সম্পাদক কল্পনা আক্তারকেও বিবাদী করা হয়।
বার কাউন্সিলের নির্দেশে সমিতির অফিস সহকারী মো. সোহাগ বুধবার গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
ওই আদালতের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ সদস্যদের ভোটে এক বছর মেয়াদে কমিটি গঠনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত বছরের ৩ মার্চ সাবেক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়; কিন্তু তারা পরবর্তী কমিটি গঠনের জন্য যথা সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেননি। এছাড়াও সাবেক ওই কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সমিতির কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক সংকট নিরসনে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সভায় সাবেক সভাপতিদের নিয়ে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহবায়ক হলেন বারের সাবেক সভাপতি ও সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া এবং সদস্য সচিব বারের সাবেক সভাপতি ও গাজীপুর পৌর বিএনপি সাবেক আহবায়ক সুলতান উদ্দিন।
অ্যাডহক কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অ্যাডহক কমিটি তদন্ত করে সাবেক কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে সমিতির ফান্ড থেকে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায়। ফলে বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ক্রমে সাবেক সভাপতি-সেক্রেটারি ও কোষাধ্যক্ষ এবং তাদের সহযোগী হিসেবে লাইব্রেরি ও মহিলা সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এর আগে তাদের ওই তিনজনকে সমিতির সদস্য থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল।