প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছে একদল বখাটে। এ ঘটনার ২৫ দিন পর অপহরণকারী ও অপহৃতকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।   
শুক্রবার গভীর রাতে গাজীপুরের একটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও উদ্ধার করে শনিবার গাইবান্ধায় আনা হয়েছে। 

মামলা সূত্র জানায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফলগাছা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের মেয়ে পড়ালেখার সুবাদে গ্রামের একটি কোচিং সেন্টারে যাতায়াত করত। এ সুযোগে পাশের রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের বখাটে ছেলে জনি ইসলাম তার বন্ধুদের নিয়ে ওই কোচিংয়ে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত ও নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল জনি। 

এ বিষয়টি স্কুলছাত্রী তার বাবা-মাকে জানালে বখাটে জনি ইসলামকে ডেকে শাসন করা হয়। কিন্তু জনি এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে ওঁৎপেতে থাকে মেয়েটির ক্ষতি করার জন্য। গত ৬ এপ্রিল বিকালে তরুণী কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময় জনি তার বন্ধুদের নিয়ে মেয়েটির পথরোধ করে। তারপর তাকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। 

এ ঘটনা জানার পরই মেয়েটির বাবা সুন্দরগঞ্জ থানায় জনি ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ অনেক খোঁজাখুজির পর শুক্রবার রাতে গাজীপুর জেলার একটি বাড়ি থেকে অভিযুক্ত জনি ইসলামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পাশের অন্য একটি বাড়ি থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ শুক্রবার রাতেই অপহরণকারী ও অপহৃত মেয়েটিকে নিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আসে। শনিবার সকালে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপহরণকারী জনি ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, অপহরণকারীকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সে পুলিশের নজর এড়িয়ে গাজীপুরে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।