সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১১:১৭ পিএম
দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে গাইবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বুধবার গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে ফুলছড়িতে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ।
দুই উপজেলার ১৬৩টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে সকালের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
দুপুর ১টার দিকে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ এনে ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জিএম সেলিম পারভেজ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে জিএম সেলিম পারভেজের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা সাংবাদিকদের গালাগাল করে এবং দৈনিক যুগান্তর ও মাছরাঙা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, যমুনা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান পলাশসহ কয়েকজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন। তারা সাংবাদিকদের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
পরে সাংবাদিকরা বিষয়টি পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনকে জানালে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ সাংবাদিকদের মাঠের পাশে ডেকে নিয়ে তার ভোট বর্জনের ঘোষণা করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ দুই উপজেলায় দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৭ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইতোমধ্যে সাঘাটা উপজেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম সামশীল আরেফিন টিটু।
সাঘাটা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন। তবে ফুলছড়ি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেট ভোট বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় অপর প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ বেসরকারিভাবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, জিএম পারভেজ ভোট বর্জন করলে অপরজনকে বিজয়ী ঘোষণা করার নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে বেসরকারিভাবে আবু সাঈদ নির্বাচিত হয়েছেন।