চরফ্যাশনের আব্দুল্লাহপুর শিবা চৌমুহনী বাজারে কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন রাসেলের বিরুদ্ধে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতে ওই চেয়ারম্যানের এমন দখল বাণিজ্যে এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করেন।
রোববার এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে ভোলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করছেন জমির মালিক মাহাবুব আলম হোসেন ও পরিবারের সদস্যরা।
হোসেন দাবি করেন শিবা বাজারে তাদের শত বছর পৈতৃক ৫৪ শতাংশ জমি রয়েছে। রাসেল ইউপি চেয়ারম্যান থাকার সময় এক সালিশের নামে নেওয়া স্ট্যাম্প তার কাছে রেখে দেন। পরে গোপনে ওই স্ট্যাম্পে জমি লিখে দলিল বানিয়ে নেয়। ৩ মে চেয়ারম্যান রাসেল শতাধিক লাঠিয়াল ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিতে বাজারের মূল্যবান জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করতে থাকেন। বাধা দিতে গেলে মারধর করেন জমির প্রকৃত মালিক পক্ষকে।
স্থানীয় থানার ওসি ও পুলিশ ম্যানেজ করেই ওই দখল উত্সবে মেতেছে রাসেল চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে রাসেল চেয়ারম্যান জানান, তার ক্রয়কৃত জমির দখল নিয়েছেন। তিনি এই জমি কিনে নিয়েছেন। জমি দীর্ঘদিন বেদখল ছিল বলে জানান। এলাকার বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রিন্স জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। মাহাবুব হোসেনের পরিবারের সদস্যরা ওই জমির মালিক বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান প্রিন্স।
স্থানীয়রা জানান, ওই রাসেলের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন নারী নির্যাতনের অভিযোগে তাকে জেলে যেতে হয়েছে। চরফ্যাশন থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, হোসেন ও তার ভাই থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছিলেন। সাবেক চেয়ারম্যান রাসেলকে ডেকে পাঠালে তিনি জানান, তার ক্রয়কৃত জমি আদালত স্বীকৃত। জমি দখলের সময় পুলিশ যায়নি। ৯৯৯ নম্বরে হোসেনের পরিবারের সদস্যরা কল করলে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। ওই জমির ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় ওসির জানা নেই বলেও জানান।