সুন্দরবনে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে
বাগেরহাট ও শরণখোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
সুন্দরবনে আগুন নেভানো কাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। রোববার দুপুরে কাছাকাছি শেলা নদী থেকে পানি এনে আগুন লাগা স্থানে পানি বর্ষণ করা শুরু করা হয়। এরই মধ্যে আনুমানিক ১০ একর জায়গাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে আগুনের বিস্তৃতি রোধে ঘটনাস্থলের চারপাশে ফায়ার লাইন কাটা হয়। ত্বরিত পদক্ষেপে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ঘটনায় চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে বনবিভাগ।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন, পুলিশ সুপার মো. আবুল হাসনাত খান, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএস তারেক সুলতান, বন সংরক্ষক (খুলনা অঞ্চল) মিহির কুমার দে, ডিএফও (পূর্ব বিভাগ) কাজী মো. নূরুল করিমসহ অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন।
শনিবার সকালে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকার লতিফের ছিলা এলাকার বনে আগুন জ্বলতে শুরু করে। রোববার ভোরে বাগেরহাট, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে যোগ দেয় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর পৃথক দুটি টিম। এ ছাড়া সঙ্গে রয়েছে বনবিভাগের কর্মী, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, ভিটিআরটি, টাইগার টিম ও এলাকাবাসী। দুপুর ১২টায় যোগ দেয় হেলিকপ্টার।
ঘটনাস্থলে থাকা সংবাদকর্মী নাজমুল হোসেন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মোবাইল ফোনে জানান, মধু আহরণকারীদের মশাল কিংবা জেলেদের ফেলে দেওয়া সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ডিএফও কাজী মো. নূরুল করিম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার সকালে ঘটনাস্থলের চারদিকে ঘুরে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শেলা নদী থেকে পানি তুলে নিয়ে পানি ছিটাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরত্বে ভোলা নদীতে পাইপ সেট করে ফায়ার সার্ভিস পানি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছে। সবার প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি বেলা ৩টায় জানান।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ভোলা নদী থেকে অন্তত দুই কিলোমিটার দূরে আগুনের উৎসে সকাল থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে। ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে, যাতে আগুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে। ফায়ার লাইনের মধ্যে পানি দেওয়া হচ্ছে। তিন দিক দিয়ে ফায়ার সার্ভিস পানি দিচ্ছে। এখন বনের মধ্যে বড় ধরনের আগুন নেই।