বরিশালে বাস ও মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৪৪ এএম
বরিশালের নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনালে বাসচালক ও হেলপারকে মারধরের জেরে জড়িতদের বিচার দাবিতে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ফের বিক্ষোভ ও ঘন্টা ব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা।
দ্বিতীয় দফা বিক্ষোভের এক পর্যায়ে মাহিন্দ্রা চালকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বাস শ্রমিকরা। এসময় দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত বাস ও মাহিন্দ্রা ভাংচুর করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর বাস চলাচল শুরু হয়।
দুপুরে বাস চালককে মারধোরের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাই’র বিচার দাবিতে সন্ধ্যায় বাস শ্রমিকরা নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বিক্ষোভ করছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভের সময় একটি মাহিন্দ্রা মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিলো। আন্দোলনকারী বাস শ্রমিকরা বাসচলাচল বন্ধ রাখার পরও মাহিন্দ্রা চলাচল কেন করছে? এ প্রসঙ্গে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে মাহিন্দ্রা চালকের তর্কবিতর্ক হয়। এরপর শ্রমিকরা মাহিন্দ্রাটি ভাংচুর করে।
এরপর মাহিন্দ্রা শ্রমিক ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল প্রায় ১ ঘন্টা বন্ধ থাকে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম চৌধুরী জানান, মাহিন্দ্রা ভাংচুর কারা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে একইস্থানে ২ ঘণ্টাব্যাপী শ্রমিকরা দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাংচুর চালায় । এ সময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করায় সারাদেশের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়।
বাসচালক ও হেলপারকে মারধরের জেরে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এই অচলাবস্থা চলে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
তবে পুলিশ বলছে, নথুল্লাবাদ টার্মিনাল কেন্দ্রীক পরিবহণ সেক্টরের শ্রমিক নেতাদের মধ্যে দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। তাদের মধ্যে থাকা বিরোধের সূত্র ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ফলে টার্মিনালের ভেতরে ও বাইরে সংঘর্ষ-ভাংচুর, হাতাহাতির ঘটনা ঘটিয়েছে শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে দুপুরে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান বলেছিলেন, মূলত অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্বে শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে তৃতীয় পক্ষ উস্কানি দিয়ে সংঘর্ষের রূপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।