ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে ২ কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন
যুগান্তর প্রতিবেদন ও শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০১:২৩ এএম
ঢাকা-যশোর রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে। যাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ট্রেন বাড়াতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও জোর দিচ্ছে।
এ রুট ধরেই ঢাকা-রাজবাড়ী রেলপথে আরও দুটি কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন হলো শনিবার। যা আজ থেকে বাণিজ্যিকভাবে এ রুটে চলাচল করবে।
শনিবার সকালে মাদারীপুর শিবচর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় ট্রেন দুটি উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও রেলওয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রেলমন্ত্রী, চিফ হুইপসহ অতিথিরা টিকিট কেটে ট্রেনটিতে ওঠেন। এরপর সেখানে ফিতা কেটে বাঁশি বাজিয়ে ট্রেনটি ছাড়েন।
উদ্বোধন হওয়া ট্রেন দুটির নাম চন্দনা কমিউটার ও ভাঙ্গা কমিউটার। চন্দনা কমিউটার ট্রেনটি রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ভোর ৫টায় ছেড়ে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে।
ওই ট্রেনটি ভাঙ্গা কমিউটার নাম ধারণ করে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৯টায়।
আবার ভাঙ্গা কমিউটার ট্রেনটি ঢাকা স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৮টায়। সেখানে ট্রেনটি চন্দনা কমিউটার নাম ধারণ করে ভাঙ্গা স্টেশন ছাড়বে রাত ৮টা ১০ মিনিটে। সবশেষে রাত সাড়ে ৯টায় রাজবাড়ী স্টেশনে পৌঁছাবে ট্রেনটি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনটির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে চন্দনা এক্সপ্রেস।
ট্রেনটির আসন সংখ্যা ৪৯২টি। এর মধ্যে ট্রেনে প্রথম শ্রেণির আসন থাকবে ২৪টি, শোভন চেয়ার শ্রেণির আসন থাকবে ৪৪টি এবং শোভন শ্রেণির আসন থাকবে ৪২৪টি। তবে ইঞ্জিন ও কোচ স্বল্পতায় শুরুতে ট্রেনটি শুধু শোভন শ্রেণির আসন নিয়ে চলাচল করবে।
পরবর্তীতে নতুন কোচ সংযুক্ত করা হলেও এ দুটি ট্রেনে প্রথম শ্রেণি, শোভন চেয়ার যুক্ত করা হবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে শুক্রবার।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, রেলে দুর্নীতি আছে, আমরা দুর্নীতি বন্ধ করব। রেলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা চিন্তা করছি রেলে আরও দুটি জোন তৈরি করব। এর একটি হবে ভাঙ্গা-ফরিদপুর। এটির জোনাল অফিস হবে ভাঙ্গায়। এতে ভাঙ্গায় রেলের সেবা আরও বাড়বে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভবিষ্যতে আমরা এপথে আরেকটি ট্রেন চালু করব। পরের ট্রেনটি নতুন বগি দিয়ে শুরু করব। আবার আগামী দুমাসের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে খুলনা, যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত আরেকটি ট্রেন চালু হবে। ও ট্রেন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরও বলেন, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত একটি রেললাইন বানানো হবে। সেটি আটটি জেলাকে যুক্ত করবে। কিন্তু এই অঞ্চলের মাটি ভালো নয়। তাই পুরো লাইনটি হবে এলিভেটেড (উড়াল)।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী ও স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মোল্লা, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. মো. সেলিম, পৌরমেয়র আওলাদ হোসেন খান ও স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।