তীব্র দাবদাহের কারণে সুন্দরবনের গহীনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার সন্ধ্যার পরও বনের মধ্যে অর্ধশতাধিক স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। আলো না থাকায় পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসও।
সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ফায়ার ফাইটিং মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। আগুন নেভানোর কাজও শুরু হয়নি। আগামীকাল সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবে ফায়ার সার্ভিস। ফলে রাতভর পুড়বে সুন্দরবন।
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে আগুন ঠিক কখন, কেন এবং কীভাবে লেগেছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলতে পারেনি বন বিভাগ।
তারা বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণ এখন প্রথম কাজ। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোংলা স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আমরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছেছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যার কারণে আমরা এখন পর্যন্ত আগুন নির্বাপনের কাজ শুরু করতে পারিনি। সন্ধ্যা হওয়ায় আমরা ফিরে এসেছি। রোববার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বনের মধ্যে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করব।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শোনার পর বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সেখানে ছুটে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এখনো সেখানে আগুন জ্বলছে। কাল সকাল থেকে আবারও আগুন নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম শুরু হবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বনের এক থেকে দেড় কিলোমিটার ইতোমধ্যে পুড়েছে। ফায়ার সার্ভিস এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি। সারারাত যদি এভাবে পুড়তে থাকে তাহলে কী অবস্থা হবে আল্লাহই জানেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি যেন প্রচুর বৃষ্টি হয়।