ভূঞাপুরে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২০
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। পাগলা কুকুরটি শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২০ জনকে গুরুতর জখম করে।
আহতরা ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল, নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত আহতদের ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, উপজেলার নিকলা নয়া পাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া (৫৫) এবং একই গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন (৩২)।
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন উপজেলার কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে তৌফিক (৭), গিলাবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা (২৮), গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের ছেলে শামিউল (৮), মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মন্ডল (৩০), চিতুলিয়াপাড়ার মোখলেছ মিয়ার মেয়ে মনিজা খাতুন (৮), চিতুলিয়াপাড়ার নাজমুল হুদার ছেলে সাফওয়াল ইসলাম (২), চিতুলিয়াপাড়ার শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫), ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ ইসলাম (৩)। এছাড়া রাজাসহ আরো বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।
আহত সুজন মন্ডল জানান, কুকুরটি আমার ছাগলকে অনবরত কামড়াতে থাকে। এ সময় আমি ছাগল বাঁচাতে এগিয়ে গেলে কুকুরটি আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কামড়াতে থাকে।
চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের সেলিম পারভেজ জানান, কুকুরটি মানুষ ও পশু দেখলেই ক্ষিপ্র গতিতে আক্রমণ করে ও কামড়াতে থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারর পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান বলেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় আহতদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয় নাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, পাগলা কুকুরটি আটক করার জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।