মুলাদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের চরকালেখান গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫)।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বিয়ের দাবি করায় রিয়াজুলের স্বজনরা তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। 

আরও পড়ুন: ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে প্রেমিকাকে বাসায় নিলেন প্রেমিক, অতঃপর...

স্কুলছাত্রী জানায়, রিয়াজুল ইসলাম ঢাকায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করেন। প্রায় ৩ বছর আগে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পাশাপাশি ঘর হওয়ার সুবাদে রিয়াজুল বাড়ি এলে মাঝে মধ্যে ওই ছাত্রীকে তার ঘরে ডেকে নিত এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রী ও রিয়াজুলের প্রেমের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে দুই পরিবার বিয়ের উদ্যোগ নেয়। 

গত ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। ছাত্রীর পরিবার দরিদ্র এ অজুহাত দিয়ে রিয়াজুলের মামা আক্তার ঢালী ও মোস্তফা ঢালী বিয়েতে বাধা দিলে তা ভেঙে যায়। কয়েক দিন ধরে রিয়াজুলের বাবা-মা বিয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় কনে দেখা শুরু করেন। 

বিষয়টি জানতে পেরে ৩০ এপ্রিল বিকালে স্কুলছাত্রী বিয়ের দাবিতে রিয়াজুলের ঘরে ওঠে। ওই সময় রিয়াজুলের বাবা-মা ও স্বজনরা ছাত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। 

অভিযুক্ত রিয়াজুল ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাকে ফাঁসাতে প্রতিবেশী ওই ছাত্রী ষড়যন্ত্র করেছে। 

এ বিষয়ে চরকালেখান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেছে। ওই পরিবারকে থানায় মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।