মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে পরিবারের ৯ সদস্যসহ পুলিশ নিহত, ঘাতক আটক
এটিএম নিজাম, কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ধাক্কা খেয়ে পর্যটকবাহী ট্রলার ডুবিতে এক পুলিশ সদস্যের পরিবারসহ ৯ জন নিহতের ঘটনার ১ মাস ৮ দিন পর ঘাতক বাল্কহেডসহ এক মাঝিকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ।
আত্মগোপনে থাকা আরেক মাঝি ইতিমধ্যেই গোপনে মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়েছেন। আটক গ্রেফতার মাঝি আল আমিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে ভৈরব নৌ-পুলিশ তাকে নরসিংদীর রায়পুরা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সূত্র ধরে ঘাতক বাল্কহেডটিও জব্দ করা হ।
ভৈরব নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শাখাওয়াত হোসেনের আদালতে আল আমিন ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আল আমিনের অপর সহযোগী মাঝি হৃদয় মিয়া আত্মগোপনে থেকে ঘটনার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই গোপনে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানান ভৈরব নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ শুক্রবার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকায় ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের ঘুরতে বের হন হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজনসহ বিভিন্ন বয়সের ১৬/১৭ জন নারী-পুরুষ। নদীর ওপার আশুগঞ্জের চর সোনারামপুর সহ উপভোগ্য স্থান পরিদর্শন করে ফিরে আসার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীর মাঝামাঝি স্থান অতিক্রম কালে পর্যটকবাহী এ ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয় দ্রুতগামী বালুবাহী বাল্কহেড।