Logo
Logo
×

সারাদেশ

১৫৩ রোহিঙ্গার জন্ম নিবন্ধনে রাজনগর চেয়ারম্যান বরখাস্ত

Icon

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩১ পিএম

১৫৩ রোহিঙ্গার জন্ম নিবন্ধনে রাজনগর চেয়ারম্যান বরখাস্ত

১৫৩ রোহিঙ্গাকে অসৎ উদ্দেশ্যে জন্ম নিবন্ধন দেওয়ায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ২৪ এপ্রিল এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেননি। নীরব রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৫৩ রোহিঙ্গা জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কয়েক লাখ টাকার লেনদেনে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস ও ডিজিটাল সেন্টারের কর্মকর্তা নয়ন গোপ্তাসহ কতিপয় আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তি জড়িত আছেন। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, জন্ম নিবন্ধনের সার্ভারের কার্যক্রম ওটিপিভিত্তিক। ওটিপি আসার পর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যাচাই করে নিবন্ধনের সুপারিশ করতে হয়। তাই এখানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া করা সম্ভব নয়। কঠোর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও আইডি কীভাবে হেকড হলো, এ নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। 

রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. যাহিদ হোসেন বলেন, আমরা তদন্ত করেছি। দায়ী ব্যক্তিদের আমরা চিহ্নিত করেছি। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। 

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৪ এপ্রিল ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন দেয়। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব একেএম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি। 

রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস গণমাধ্যমকে জানান, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আমার জানা নেই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম