Logo
Logo
×

সারাদেশ

গোমস্তাপুরে ১২শ বিঘা জমির ধান হুমকির মুখে

Icon

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০২ পিএম

গোমস্তাপুরে ১২শ বিঘা জমির ধান হুমকির মুখে

বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অবহেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে বড়বিলের প্রায় ১২শ বিঘা জমির বোরো ধান মরতে বসেছে। দীর্ঘদিন দিন যাবত পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় পানির অভাবে ওই এলাকার জমিগুলো শুকিয়ে গেছে। এছাড়া ধানগাছগুলো শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে।

সরেজমিন গেলে কৃষকরা জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান রক্ষা করা যাবে না।

জানা গেছে, বিএমডিএর গোমস্তাপুর জোনের আওতায় রামদাস সেতুর নিচে পুনর্ভবা নদী থেকে সেচপাম্পের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে আকারির বাঁধ হয়ে সেচের পানি ওই এলাকায় অবস্থিত ৫টি এলএলবি পাম্পের মাধ্যমে ওই এলাকার জমিগুলোতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

ওই এলাকার এলএলবি পাম্প চালকরা জানান, বিএমডিএ খালে গত কয়েক দিন যাবত পানি সরবরাহ না করায় আমরা কৃষকদের জমিতে পানি সরবরাহ করতে পারছি না। এর ফলে অনাবৃষ্টি ও চলতি দাবদাহের মধ্যে ঠিকমতো জমিতে পানি সরবরাহ না করায় ওই এলাকার শত শত বিঘা জমির ধান হুমকির মুখে পড়েছে।

কৃষকরা জানান, পানির উৎসমুখ সচল রাখতে তারা নদী খনন করে বিএডিএকে সহযোগিতা করার পরও সেচকাজ স্বাভাবিক রাখতে তারা কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি কোনো সমস্যা হলে বিএমডিএর সংশ্লিষ্ট ইলেক্ট্রিশিয়ানদের (মেকানিক) সেবা পাওয়া যায় না।

ওই এলাকার কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সোনার্দী জানান, বিষয়টি আমরা ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে অবহিত করব।

তবে বিএমডিএর দাবি, ওই এলাকার সেচের পানির মূল উৎস পুনর্ভবা নদীর পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটর আনোয়ার হোসেন জানান, কৃষকরা দীর্ঘদিন যাবত সেচের পানি না পাওয়ার যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গত ২ দিন যাবত ওই এলাকায় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকালে সেচপাম্পগুলো নদীর পানির কাছাকাছি নিয়ে পানি উত্তোলনের চেষ্টা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএমডিএর গোমস্তাপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা দ্রুত কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম