কেএনএফের তাণ্ডব
বান্দরবানে গ্রেফতার ৫ জন ফের রিমান্ডে জেলহাজতে ৩ নারী
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
বান্দরবানের রুমা-থানচিতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতি, তাণ্ডবের মামলায় কারাগারে থাকা ৫ জনের আরও ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে দুই নারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেএনএফের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নতুন করে গ্রেফতার আরও ৩ নারীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
রুমা-থানচিতে কেএনএফ-এর ব্যাংক ডাকাতি, হামলা-তাণ্ডবের মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের পুলিশ আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে আসামিদের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন থানচি উপজেলার লনসেও বম (১৯) ভাননুন নুয়াম বম (২৩), রোয়াংছড়ির ভাননুন নুয়াম বম (২৩), রুমার লিয়ান সিয়াম বম (৫৭) ও ভান নুয়াম থাং বম (৩৭)। আর দুজন নারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। তারা হলেন লাল রিন তেলায়াং বম (২০) ও জেমিনিও বম (২০)।
এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে কেএনএফ-এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার রুমা থেকে নতুন করে গ্রেফতার হওয়া ৩ নারীকে পুলিশ বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হকের আদালতে হাজির করে। আদালত অভিযোগ শুনে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন রুমা ইডেনপাড়ার বাসিন্দান লাল নুন পুই বম (১৮), লাল রুয়াত ফেল বম (২০) ও লাল এং কল বম (২৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপপুলিশ পরিদর্শক পায়েল পালিত জানান, কেএনএফ-এর ব্যাংক ডাকাতি, হামলা, অস্ত্র লুটের মামলায় পুলিশ দুভাগে ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করে। প্রথম দফায় ৭ জনের মধ্যে ৫ জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর দুজন নারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় আরও ৩ নারীকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহতুল হোসাইন যত্ম জানান, রাষ্ট্রপক্ষের দুটি মামলায় ৭ জনকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক ও বিশ্লেষণ শেষে ৫ জন পুরুষকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং দুই নারী আসামিকে জেলগেটে ২ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন। অন্যদিকে একই মামলায় গ্রেফতার ৩ নারীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে ৪ শিশু সন্তানকেও কারাগারে নেওয়া হয়েছে।