উপজেলা নির্বাচন
গাবতলীতে আগুন লাগিয়ে মহিলা প্রার্থীকে হত্যার চেষ্টা
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০২ পিএম
বগুড়ায় প্রথম ধাপে গাবতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মহিলা লীগ নেত্রী নাজমা আকতারের বাড়ির বাঁশঝাড়ে আগুন লাগিয়ে তাকে সপরিবারে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের রানীরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগুন দেওয়ার আগে তার বাড়ির তিন দরজা ও ভাই হযরত আলীর বাড়ির প্রধান দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেশীরা টের পাওয়ায় আট সদস্যের পুরো পরিবার রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় গাবতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নাজমা আকতার দাবি করেন, আগুন দেওয়ার সঙ্গে মহিষাবান ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ এবং তার লোকজন জড়িত। নাজমা আকতার আরও জানান, তিনি গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং সংরক্ষিত মেম্বর ছিলেন। ৮ মে গাবতলী উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন। তার সঙ্গে সুলতান মাহমুদের বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত মাসে মারামারির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর থেকে সুলতান তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। ফেসবুকে নির্বাচন নিয়েও হুমকিসহ বিভিন্ন কটূক্তি করেন।
শনিবার রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার বাড়ির পেছনে বাঁশঝাড়ের পাঁচ স্থানে আগুন দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে তালা খুলে বের হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে পাশের বাড়ি থেকে তার ছেলে নিবির হাসান ও অন্যরা ছুটে এসে পানির মোটর চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। অল্পের জন্য স্বামী আব্দুল ওয়াহাব, ছেলেমেয়ে, মাসহ আটজন প্রাণে বেঁচে গেছেন।
নিবির হাসান জানান, আর ১৫ মিনিট দেরি হলে মূল বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ত। দরজা বন্ধ থাকায় পরিবারের সবাই পুড়ে মারা যেতেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
তবে সুলতান মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তারা অভিযোগের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবেন না।
গাবতলী থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলা দিলে তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।