চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা
চাঁদাবাজি রোধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও মেলায় চাঁদাবাজি রোধে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুর ১২টার দিকে নগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজক কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পুলিশের কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়।
দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) মো. আশরাফুল করিম, কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তীসহ ফাঁড়ির ইনচার্জরা।
কোতোয়ালি থানার ওসি এসএম ওবায়েদুল হক জানান, সভায় পুলিশ কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হলো- মেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজক, ক্রেতা ও বিক্রেতারা যেন হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন সেদিকে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা, চাঁদাবাজি সংক্রান্তে কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশের ফুট-পেট্রোল বাড়ানো ইত্যাদি।
মতবিনিময় সভায় জব্বারের বলীখেলা ও মেলার আয়োজক কমিটির পক্ষে সভাপতি জহরলাল হাজারী, সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার, সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ জামাল হোসেন, তাপস দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালি যুব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে চট্টগ্রামের বদরপতি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর কুস্তির প্রবর্তন করেছিলেন, যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘বলীখেলা’ নামে পরিচিত। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সনের ১২ বৈশাখ নিজ নামে লালদীঘির মাঠে এ বলীখেলার সূচনা করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর লালদীঘির মাঠে ১২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় বলীখেলা। বলিখেলার একদিন আগে-পরে তিন দিন ধরে লালদীঘির পারসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে বসে মেলা। এ মেলায় গৃহস্থালি পণ্য থেকে শুরু করে নানা পণ্যের পসরা বসে। এবার ২৫ এপ্রিল লালদীঘির মাঠে এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বলীখেলায় অংশগ্রহণার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে।