প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন চাচা-ভাতিজা
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা উপক্ষো করেই লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। চাচা-ভাতিজার এ মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নিদের্শনা না মানায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটে রোববার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ, এমপির ভাই ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জান আহমেদ এবং মো. তারিকুল ইসলাম তুষার। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষ করে এমপি পরিবারে চাচা-ভাতিজা মনোনয়নপত্র দাখিল করায় এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহবুবুজ্জামান আহমেদ সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ভাই হলেও বিগত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এতে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলামের পক্ষে ভোট করেন মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। শুধু তাই নয়, ভোটের মাঠে বিভিন্ন সভায় ভাই নুরুজ্জামান আহমেদ সম্পর্কে নানান বিষোদগার করেন তিনি। ফলে কালীগঞ্জের ভোটের রাজনীতিতে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি এলাকার সবার জানা।
তবে এমপির আত্মীয়স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মাহবুবুজ্জান আহমেদ বলেন, ‘এমপি (নুরুজ্জামান আহমেদ) আমার ভাই হলেও আমি তার বলয়ের লোক নই। আমি ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি করে আজ এ পর্যায়ে এসেছি। এখন তার ছেলেকে (রাকিবুজ্জামান আহমেদ) নিয়ে আসার অর্থ হচ্ছে আমাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করার বিষয়ে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘আমি দলীয়ভাবে সেরকম কোনো নির্দেশনা পাইনি। এলাকার মানুষজনের ভালোবাসার চাপে প্রার্থী হয়েছি।’