রাজশাহী মহানগরের সিরোইলে অবস্থিত ঢাকা বাস টার্মিনাল এলাকায় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) জমিতে অবৈধভাবে ছয়টি বাস কাউন্টার নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রুবেল ও রজন নামের দুই মোটর শ্রমিকের বিরুদ্ধে। তারা ১৬ এপ্রিল রাতে হঠাৎ করেই জায়গাটির দখলে নিয়ে ইট-বালু-সিমেন্ট দিয়ে কাউন্টার নির্মাণকাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য কাউন্টারগুলোর দেওয়াল ৫ ফুট করে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যার পর আরডিএ’র এস্টেট অফিসার বদরুজ্জামানের নেতৃত্বে আরডিএ’র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ নির্মাণ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। পাশাপাশি রুবেল ও রজনকে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চিঠিও দিয়েছে নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে। তবে শনিবার পর্যন্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরোইল-ঢাকা বাস স্ট্যান্ড থেকে কল্পনা সিনেমা পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্তকরণের সময় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাসস্ট্যান্ড এলাকার পুকুর সংলগ্ন জায়গাটি হুকুম দখল করেন ২০০৯ সালে। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত আরডিএ’র গোধূলি মার্কেট সংলগ্ন সড়ক ঘেঁষে রয়েছে ঢাকাগামী বাসগুলোর বেশ কিছু কাউন্টার। পুকুর সংলগ্ন হানিফ কাউন্টার থেকে দক্ষিণে প্রায় ১০০ মিটার এলাকাটি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন। এই জমির পরিমাণ ৪ কাঠা, যার বাজারমূল্য দুই কোটি টাকার বেশি। জায়গাটিতে দীর্ঘদিন ধরে মাচা বেঁধে মৌসুমি ফলের আড়ত হিসাবে ব্যবহার করেন কিছু লোক।
আরডিএ’র জায়গায় থাকা চায়ের দোকানদার বশির হোসেন বলেন, কাউন্টারগুলো নির্মাণ করে সেগুলোর প্রতিটি বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাছে ২০ লাখ টাকা করে বিক্রি করা হবে। রজন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতার লোক বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে জায়গাটি বরাদ্দ নিতে তৎপরতা চালিয়েছেন। তবে না পেয়ে অবৈধভাবে কাউন্টার নির্মাণ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুবেল জানান, জায়গাটি তাদের। খালি পড়ে থাকায় কাউন্টার নির্মাণ করছেন। নির্মাণ করে বাস কোম্পানির কাছে ভাড়া দেওয়া হবে। তবে রুবেলের দাবি সঠিক নয় বলে আরডিএর এস্টেট অফিসার বদরুজ্জামান বলেন, জায়গাটি আরডিএ’র। কেউ চাইলেই সেটি নিজের বলে দাবি করতে পারবে না। তারা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নিলে শিগগির উচ্ছেদ করব।