দোয়ারাবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
কিশোরীকে ৯ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৫ পিএম
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নিখোঁজের ৯ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ বলছে, উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রাজন কুমার দাশ ও ছাতক-দোয়ারাবাজার সার্কেল সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ও দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল আলম ১৭ এপ্রিল বাংলাবাজার ইউপির বাঁশতলা শহিদ মিনার কলোনিতে যান। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে কিশোরীকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সকালে দোয়ারাবাজার থানায় কিশোরীকে নিয়ে তার চাচাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন পুলিশ। কিন্তু গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৪টা পর্যন্ত কিশোরীকে নিয়ে তার চাচা থানায় উপস্থিত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি বদরুল আলম।
১১ এপ্রিল রাতে উপজেলার বাংলাবাজার ইউপির মৌলার পাড় আপনের টিলায় নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। জানা যায়, ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই কিশোরী বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে বাঘমাড়া বাজারে চলে যায়। পরে কিশোরীকে সাবেক ইউপি সদস্য কালামের বাড়িতে নিয়ে যান। মেম্বার কিশোরীর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে পরে কিশোরীকে আব্দুল কুদ্দুছের মাধ্যমে তার বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন ইউপি সদস্য। আব্দুল কুদ্দুছ এ কিশোরীকে বাড়ি না দিয়ে এলাকার কুখ্যাত চোরাকারবারি বখাটে জনৈক জুটনের কাছে তুলে দেন। পরে তাকে আপনের টিলার ওপরে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করেন জুটনসহ তার দুই সহযোগী। সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে মেয়েটা পালিয়ে পুনরায় সাবেক কালাম মেম্বার বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। পরে থানার ওসির সঙ্গে আসামিদের বড় অংকের টাকার বিনিময় রফা দফার মাধ্যমেই অলিখিত চুক্তি হয়। পুলিশ ঘটনাটি চাপা দিয়ে নির্যাতিত কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে থানায় থেকে তার চাচার জিম্মায় দেওয়া হয়। এরপর থেকে ওই কিশোরীকে আড়াল করে রাখা হচ্ছে।