কমিউনিটি সেন্টারে অতিথিদের অনেকে চলে এসেছেন। রান্নাবান্নাও শেষ। বাকি শুধু অতিথিদের মধ্যে খাবার পরিবেশন। এমন অবস্থায় চট্টগ্রামে ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে কমিউনিটি সেন্টার থেকে বর-কনেকে নিয়ে পালালেন অভিভাবকরা।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ‘হল ২১’ নামে কমিউনিটি সেন্টারে সাড়ে ১৬ বছরের কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করেন বর-কনে পক্ষ। বাল্যবিবাহের বিষয়টি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত। তিনি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কর্ণফুলী সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরীকে নির্দেশনা দেন। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে ম্যাজিস্ট্রেট যাচ্ছেন- এমন খবর পেয়ে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ‘হল ২১’ নামে কমিউনিটি সেন্টার থেকে বর-কনেকে নিয়ে পালিয়ে যান অভিভাবকরা। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুই পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন দুই পরিবার।
পিযুষ কুমার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দুই পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। মুচলেকা ভঙ্গ করলে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ মতে দুই পরিবারকে আইনের আওতায় আনা হবে।’