দুই বন্ধুর স্ত্রীকে গরিব-দুস্থদের শাড়ি দেওয়ার অভিযোগ, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের শাড়ি পেয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমনের দুই বন্ধুর স্ত্রী। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক ভিডিওবার্তায় ব্যারিস্টার সুমন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সুমন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ৪৫০ বা ৫০০ শাড়ি, লুঙ্গি দেওয়া হয়; কিন্তু আমার এলাকায় মানুষ থাকে তিন থেকে চার লাখ। তারা আশা করে থাকে সংসদ সদস্য হিসেবে আমি তাদের কিছু না কিছু উপহার দেব। তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ বণ্টন প্রক্রিয়াতে কে, কাকে দিচ্ছে— এর দায় কি এমপি হিসেবে আমি নিতে পারি। আমি সব কিছু বণ্টনে সব সময় খোঁজখবর নিয়ে থাকি। তার পরও কাউকে গরিব মনে করে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু উপহার দিয়ে থাকলে তিনি যদি সেটি গ্রহণ না করে তা হলে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া অথবা প্রকৃত গরিবদের বিতরণ করে দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমার এলাকার ইতিহাস বদলানোর জন্য আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রী যে ঈদ উপহার দেন, এটা আমার এলাকায় এই প্রথম আমিই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করি, যা এর আগে কোনো সংসদ সদস্য করেনি।
এ সময় একটি গণমাধ্যমের সমালোচনা করে সুমন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এ ধরনের সৎ লোককে তারা মেনে নিতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ব্যারিস্টার সুমনের বন্ধু দাবি করা আবদুল মুকিত ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ঈদের আগের রাত ১২টার সময় তার বউয়ের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হানের মাধ্যমে শাড়িটি পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। বাড়িতে নিয়ে খুলে দেখেন এটা জাকাতের শাড়ি। তৎক্ষণাৎ ফেরত পাঠানোর কোনো উপায় না পেয়ে যাদের জন্য জাকাত খাওয়া প্রযোজ্য—এমন একজন অসহায় নারীকে দান করে দেন।
একই দিন সানু আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া আমার বউয়ের জন্য জাকাতের সুতি শাড়ির বাজারমূল্য ২৮০ টাকা। ...আমার বউ এসব শাড়ি পরে না। আগামীকাল একজন অসহায় মানুষকে শাড়িটি দিয়ে দেব।’
আবদুল মুকিত বলেন, ‘মনে কষ্ট পেয়ে ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দিয়েছি। তার (ব্যারিস্টার সুমনের) নির্বাচনের সময় আমি এত কষ্ট করেছি। সে কি করে আমার বউয়ের জন্য এ ধরনের শাড়ি পাঠায়। আমার অবস্থান পরিষ্কার, যা সত্য তাই তুলে ধরেছি।’
সানু আহমেদ বলেন, ‘আমি সুমনের বন্ধু। তার কাছে কিছু পাওয়ার আশায় এ বন্ধুত্ব নয়। সে অন্য মানুষের মাধ্যমে কী করে এ শাড়ি পাঠাল, তা বুঝে উঠতে পারছি না। এ শাড়ি তো আমার পাওয়ার কথা না। এগুলো তো গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণের কথা। তাই মনের কষ্ট থেকে ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দিয়েছি।’