Logo
Logo
×

সারাদেশ

এবার কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ও ব্যাগ ফেরত দিলেন সেই দম্পতি

Icon

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০০ পিএম

এবার কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ও ব্যাগ ফেরত দিলেন সেই দম্পতি

রেলের ধারে কুড়িয়ে পাওয়া টাকাসহ পোশাকভর্তি ব্যাগ ফেরত দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার সেই শিরিন-জিয়া দম্পতি। বুধবার পৌরসভার পেড়াবাড়িয়া মহল্লার নিজের বাড়িতে টাকাসহ পোশাকভর্তি ব্যাগ মালিকের হাতে তুলে দেন এ দম্পতি। 

এর আগে করোনাকালে চিকিৎসার জন্য জমানো পুরো ১ লাখ টাকা কর্মহীন অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে সাড়া ফেলেছিলেন এ দম্পতি। এমনকি নিজেদের বাড়ি নির্মাণের জন্য কেনা ইট বিক্রি করে সেই সময় ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে আলোচিত হয়েছিলেন তারা। শিরিন-জিয়া বাগাতিপাড়া পৌরসভার মালঞ্চি রেলগেট এলাকায় রেলের পরিত্যক্ত জমিতে বসবাস করেন। পেশায় স্বামী জিয়াউর রহমান ঠিকাদারির সহযোগী এবং শিরিন আক্তার আনসার-ভিডিপির পৌর ওয়ার্ড লিডার।

শিরিন জানান, তার স্বামী জিয়াউর রহমান মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়িসংলগ্ন রেললাইনের ধারে লেবুবাগানে একটি ব্যাগ কুড়িয়ে পান। সেই ব্যাগে নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকা, নষ্ট মোবাইল ফোন, নতুন পোশাকসহ ব্যবহারের বিভিন্ন সামগ্রী ছিল। পরে দুজনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যাগের মালিককে খুঁজতে শুরু করেন। নষ্ট মোবাইলের ভেতরে থাকা সিমকার্ডের সূত্রধরে তারা ব্যাগের মালিক মো. শাকিলের সন্ধান পান। 

শাকিল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। পরে শিরিন বিষয়টি থানা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন। পর দিন সকালে ব্যাগের মালিকসহ লোকজন তার বাড়িতে এলে ব্যাগের ভেতরের মানিব্যাগে থাকা ছবি দেখে মালিককে নিশ্চিত করেন এবং পুলিশের অনুমতিতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে টাকাসহ মালামাল তুলে দেন।

ব্যাগের মালিক মো. শাকিল জানান, তিনি ঢাকার মতিঝিলে একটি ছাপাখানায় কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ির সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক কিনে গত ৯ এপ্রিল লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে রংপুরে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি বাগাতিপাড়ার ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় হঠাৎ করেই ব্যাগটি ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে বাগাতিপাড়া এলাকায় এসে খুঁজেছেন কিন্তু পাননি। 

অবশেষে মঙ্গলবার রাতে শিরিনের ফোন পান। রংপুর থেকে দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এসে বুধবার সকালে টাকাসহ ব্যাগের সব মালামাল ফেরত পান। এ জন্য তিনি শিরিন-জিয়া দম্পতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তাদের হাতে উপহারস্বরূপ অর্থ তুলে দিতে চাইলে এই দম্পতি নিতে অস্বীকৃতি জানান। 

উল্লেখ্য, শিরিন আক্তার দীর্ঘদিন থেকে হার্ট, কিডনি ও মেরুদণ্ডের অসুখে ভুগছেন। ভারতে নিয়মিত চিকিৎসা নেন। ব্যক্তিগতজীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম