পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই মারামারি, বাবা নিহত, ছেলে আহত

যুগান্তর প্রতিবেদন, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২ পিএম

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর দীঘিরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে সালিশ, অতঃপর পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই একব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। তার নাম সোহরাব খান। তিনি দীঘিরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় খান বাড়ির বাসিন্দা। হামলায় সোহরাবের ছেলে জনি খানও গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার দীঘিরপাড় বাজার এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনার পর দীঘিরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ আলমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে তদন্তকেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোহরাব খানের সঙ্গে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ভোলা হালদার ওরফে ভোলা মেম্বারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই ঘটনায় সোমবার দীঘিরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে আসে দুইপক্ষ। এ সময় বিরোধে জড়িয়ে পড়লে ভোলা হালদার ও তার দুই ছেলে রিজভী ও রিহানসহ ৭-৮ জন সোহরাব খান ও জনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাদের টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোহরাব খানকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোহরাবের ছোট ভাই মিজান খান বলেন, দীঘিরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শাহআলম ডেকে এনে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তিনি আরও জানান, সোহরাব খানকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন শাহআলম। পড়ে তার সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন।
টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, সোহরাব খানের মাথায় ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর জনি খানের মাথায়, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সোহরাবের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।