Logo
Logo
×

সারাদেশ

লালমোহনে ইউপি সদস্যের দাপটে মানুষ অতিষ্ঠ

Icon

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৭ পিএম

লালমোহনে ইউপি সদস্যের দাপটে মানুষ অতিষ্ঠ

লালমোহন উপজেলায় মো. আল-মামুন নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আল-মামুন লালমোহন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তার অনিয়ম নিয়ে কেউ মুখ খুললে তাকে মারধর করে নিজের ক্ষমতার জানান দেন তিনি। এছাড়া ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন মানুষজনকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। লালমোহন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এখন ইউপি সদস্য আল-মামুনের স্বঘোষিত সাম্রাজ্যতে পরিণত হয়েছে।

ইউপি সদস্য আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লালমোহন ইউনিয়নের মুন্সির হাওলা এলাকার মো. রফিজল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। যার জন্য একটি জেলে কার্ড করতে ইউপি সদস্য মামুনের কাছে যাই। তার কাছে গেলে আমার থেকে কার্ড করে দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা নেন। এর বিনিময়ে আমাকে তিনি একটি জেলে কার্ড করে দেন। ওই কার্ডের অনুকূলে আমি পাঁচ কিস্তি চাল পাই। দীর্ঘদির ধরে আমার জেলে কার্ডের চাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি ইউপি সদস্য মামুনকে জানাই। তখন তিনি আমাকে জানান; আমি আর কোনো চাল পাব না। এরপর চাল না পাওয়া ও টাকার বিনিময়ে আমাকে জেলে কার্ড করে দেওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে জানানোর কথা বললে ১৩ মার্চ ইউপি সদস্য মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করে। আমি অসহায়। তাই কারও কাছে বিচারের জন্য যেতে পারিনি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও আমার জেলে ভাতা পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

অন্যদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক লালমোহন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, আমরা জানি সরকার বিনামূল্যে অসহায়দের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। তবে মামুন সদস্যের কাছে এসব সুযোগ-সুবিধা চাইতে গেলে তিনি প্রথমেই টাকার কথা বলেন। 

ইউপি সদস্য মো. আল-মামুন বৃদ্ধ মো. রফিজল ইসলামকে লাঠি দিয়ে মারধরের ঘটনা স্বীকার করলেও অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

তবে লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, এসব ঘটনা আমার আগে জানা ছিল না। এখন যেহেতু জেনেছি, তাকে জিজ্ঞাসা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ইউপি সদস্য কাউকে মারধর করলে ভুক্তভোগী ব্যক্তি থানায় মামলা করতে পারেন। এছাড়া সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে ইউপি সদস্য অর্থ আদায় করলে অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম