Logo
Logo
×

সারাদেশ

চট্টগ্রামে শেষ মুহূর্তের ঈদের জমজমাট বেচাকেনা 

Icon

আহমেদ মুসা, চট্টগ্রাম 

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ পিএম

চট্টগ্রামে শেষ মুহূর্তের ঈদের জমজমাট বেচাকেনা 

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। নগরীর শপিং মল ও মার্কেটগুলোতে প্রতিদিনই উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কেনাকাটা চলছে। মানুষের মধ্যে ঈদের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। তাই চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। নগরীর নামিদামি মার্কেট, পাইকারি বাজার ও বুটিক হাউজগুলো জমজমাট বেচাকেনা ও ক্রেতা উপস্থিতিতে মুখর। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য পণ্যের মতোই সব ধরনের কাপড়ের দামও বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতাদের মানসিকতা এখন পরিবর্তন হয়েছে। ঈদ ঘনিয়ে এলেই মার্কেটে যাবেন এমন চিন্তা থেকে সরে এসেছেন তারা। তাই ঝুটঝামেলা এড়াতে এবং নির্বিঘ্নে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসাবে ক্রেতারা আগেভাগেই শপিং করছেন।

বিশেষ করে কাটা কাপড়ের (টু-পিস, থ্রি-পিস), পাঞ্জাবির কাপড় তথা থান কাপড়ের দোকানে ভিড় শুরু হয়েছে রোজার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকেই। দর্জি দোকানগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে। নামিদামি দর্জি দোকানগুলো কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার নেওয়া একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছে। রোজার শুরু থেকেই ঘরে ঘরে ব্লক্ল বুটিক ব্যবসা, অনলাইন ব্যবসাও চলছে পুরোদমে।

বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চকবাজারের মতি টাওয়ার, মতি কমপ্লেক্স, চক ভিউ সুপার মার্কেট, গুলজার টাওয়ার, সৈয়দ সেন্টার, ২ নম্বর গেট সংলগ্ন মিমি সুপার মার্কেট ও আফমি প্লাজা, জিইসি মোড়ের স্যানমার ওস্যান সিটি, টেরিবাজার, নিউ মার্কেট, রিয়াজুদ্দিন বাজার ও আগ্রাবাদ এলাকার ব্যাংকক সিঙ্গাপুর মার্কেটসহ একাধিক মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি মার্কেটই ক্রেতায় ঠাসা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই কোথাও।

এবারের ঈদে শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ফতুয়ায় এক্সক্লুসিভ কাজ করা হয়েছে। বুটিক হাউজে শাড়ি ৩ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার ৫০ টাকা, পাঞ্জাবি ১ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদে বিভিন্ন ডিজাইনের স্পেশাল সালোয়ার-কামিজ দুই হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা, শাড়ি এক হাজার ২০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা, পাঞ্জাবি ১০০০ থেকে আট হাজার টাকায় বেচাকেনা চলছে। লাল, বাদামি, আকাশি রংকে প্রাধান্য দিয়ে সিল্ক, সুতি, তসর, আদ্দি, খাদি ও ধুতি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। ঈদের পোশাকে ম্যাটেরিয়াল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাটিক, ব্লক, কারচুপি, অ্যামবুশ, হ্যান্ডপেইন্টসহ বিভিন্ন মাধ্যম। শতাধিক ফ্যাশন ডিজাইনারের ৮৫ ভাগই নারী।

ফ্যাশন হাউজ ‘আলফা’র আফমি প্লাজার শাখা শোরুমের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দুই বছর বুটিক হাউজে বিনিয়োগ অনুযায়ী ব্যবসা হয়নি। এ বছর ক্রেতাদের ভিড় অনেক বেশি। বেচা-বিক্রিও ভালো। 

নগরীর মতি টাওয়ারের শপিং করতে আসা গৃহিণী শাহীন আক্তার যুগান্তরকে বলেন, গেল দুই বছর কেনাকাটা করা হয়নি করোনার কারণে। উৎসবের আমেজও ছিল না। এ ঈদ সামনে রেখে পুরোদমেই একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

বুটিক হাউস ‘ওয়েল ক্রাফট’ এর স্বত্বাধিকারী নাদিম হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বুটিক হাউজগুলো দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা চলছে। 
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম