দিরাইয়ে গরিবের চাল নিয়ে চালবাজি
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অসহায় গরিব মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ৬০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার রাজানগর বাজার থেকে রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের চাচা কাসেম মিয়ার দোকান থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনি রায় ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা মনির হোসেনের উপস্থিতিতে দিরাই থানা পুলিশ চাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনির হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম বলা যাচ্ছে না। গ্রেফতারকৃত সাগর মিয়া দোকানের কর্মচারী, সে রন্নারচর গ্রামের শামীম মিয়ার ছেলে।
রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল জানান, উদ্ধারকৃত চালগুলো তার নয়, ওনার ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ চাল তিনি বুধবারের মধ্যেই বিতরণ করে শেষ করেছেন। এ চাল কার তা জানি না। জহিরুল ইসলাম জুয়েলের ছোট ভাই রাজানগর বাজারের ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম জানান, বিকালে রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈলেন চন্দ্র দাস তাকে ফোন করে কিছু চাল বাজারে রাখার ব্যবস্থা করতে বলেন। ওনার অনুরোধে আমার চাচাতো ভাইয়ের দোকানে রাখতে দিয়েছি, চালগুলো ওনার। রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈলেন চন্দ্র দাস বলেন, আমার ইউনিয়নের মেঘনা গ্রামে বিতরণের জন্য গুদাম থেকে ৬০ বস্তা (৩০০ কেজি) ভিজিএফের সরকারি চাল তুলে নিয়ে আসার সময় রাজানগর বাজার এলাকায় বৃষ্টি চলে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি ফোন করে আজহারুলকে বলি চালগুলো একটি ঘরে রাখার ব্যবস্থা করার জন্য, সে তার চাচার দোকানে রাখার ব্যবস্থা করে। বাড়িতে আসার পর শুনতে পারি চাল নিয়ে ভেজাল হচ্ছে।
সহকারী কমিশনার ভূমি জনি রায় বলেন, খবর পেয়ে রাজানগর বাজারে গিয়ে একটি দোকানে ৬০ বস্তা সরকারি চাল পাই, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ আমরা দিরাই থানা পুলিশের মাধ্যমে তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। যেহেতু এটি চুরি ও জালিয়াতি সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিস ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দোকানে সরকারি চাল রাখা অপরাধ, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।