জামায়াত নেতার ‘ষড়যন্ত্রে’ দিশেহারা আ.লীগ নেতাকর্মীরা
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
কলাপাড়ার মহিপুরে জামায়াত নেতা আবু হানিফের মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মালেক আকনসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তার অবৈধ একাধিক ব্যবসা নির্বিঘ্নে করতে ও পাওনা টাকা না দেওয়ার ফন্দি হিসেবে তাদের গ্রামছাড়া করতে চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মালেক আকন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জামায়াত নেতা আবু হানিফ, ইউনুস সিকদার ও ইউনুস হাওলাদার দীর্ঘদিন একসঙ্গে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করতেন। তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীর কাছে একটি অভিযোগ আসে। তিনি মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে বিষয়টি সমাধানের জন্য আবু হানিফসহ সবাইকে ডাকা হয়। আবু হানিফ কিছুদিনের সময় চেয়ে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ করে মামলা করেন।
মালেক আকন বলেন, কারিতাস ভবনের পাশে যে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা তিনি বলেছেন তার মালিক আবু হানিফ নয়। ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এ ভবনের মালিক ইব্রাহীমের কোনো অভিযোগ নেই। রাইচ মিল ও তেলের মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইউনুস সিকদারের কোনো অভিযোগ নেই। অথচ এসব মিথ্যা মনগড়া তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।
তিনি বলেন, আবু হানিফ ছাত্রজীবনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের সদস্য থেকে পরবর্তীতে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। সরকারবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকে একের পর এক মিথ্যা ভিত্তিহীন নাটকীয় কাহিনির অবতারণা করে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে আসছে। ইতোপূর্বে তিনি একটি ধর্ষণ মামলায় এক মাস জেলহাজতে বাস করেন। তার রয়েছে একাধিক অবৈধ ব্যবসা। মহিপুর বাজারে তার আবাসিক হোটেল থেকেই এসব ব্যবসা পরিচালনা করা হয়।
আবু হানিফ নিজের অপকর্ম ঢাকতে আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এর প্রতিবাদ ও জামায়াত নেতা আবু হানিফের শাস্তি দাবি করেন মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সব অস্বীকার করে আবু হানিফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে ধর্ষণ মামলা হয়েছিল তা আদালত খারিজ করেছেন।