Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভিজিএফের চাল না দিয়ে কার্ড রেখে হতদরিদ্রদের তাড়িয়ে দেন চেয়ারম্যান

Icon

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম

ভিজিএফের চাল না দিয়ে কার্ড রেখে হতদরিদ্রদের তাড়িয়ে দেন চেয়ারম্যান

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের হতদরিদ্র ১ হাজার ৬৮৩ জন কার্ডধারীদের মাঝে সরকারের দেওয়া ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। অথচ সেই ভিজিএফের চাল না দিয়ে কার্ড রেখে হতদরিদ্রদের তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাংশার মৌরাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

তিনি অর্ধশত হতদরিদ্র কার্ডধারীদের ভিজিএফের চাল না দিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দেন। যদিও চেয়ারম্যান বলছেন কার্ড না থাকায় শতাধিক অসহায়কে চাল দেওয়া হয়েছে। তাই চাল ফুরিয়ে গেছে। যারা চাল পাননি নাম লিখে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া হবে বলে জানান ওই চেয়ারম্যান।

নিয়ম অনুযায়ী ভিজিএফ কার্ডের মাস্টার রোল তৈরি না করে নিজেদের তৈরি মনগড়া কাগজে নাম লিখে চাল বিতরণ করার কোনো সুযোগ নেই।

মৌরাট ইউনিয়নের বড় চৌবাড়ীয়া গ্রামের বিধবা আলেয়া বেগম আক্ষেপ করে বলেন, গরমের মধ্যে রোজা থেকে দুপুর ২টার দিকে কার্ড নিয়ে গেছিলাম। চেয়ারম্যান কার্ড রেখে আমাকে বের করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন আর চাল নাই বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

মৌরাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভ্যানচালক নাছির বলেন, কাজ শেষ করে ৩টার দিকে চাল আনতে পরিষদে গেছিলাম। আমার সঙ্গে আরও ৩ জন হতদরিদ্র ছিল। চাল আর নাই বলে আমাদের কার্ড রেখে চলে যেতে বলেন চেয়ারম্যান।

পাংশার মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সকাল থেকে চাল দেওয়া শুরু করছিলাম। কার্ড না থাকায় শতাধিক অসহায় হতদরিদ্রকে চাল দেওয়াতে সব ফুরিয়ে গেছে। এর ফলে ৪টার পরে যারা আসছে তারা চাল পাইনি। তাদের কার্ড রেখে দিয়েছি। নিজের পকেট থেকে থেকে চাল কিনে দিয়ে দেব বলে জানান।

এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে চাল ফুরিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। চেয়ারম্যানের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকৃত কার্ডধারীরাই চাল পাবে বলে তিনি জানান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম