Logo
Logo
×

সারাদেশ

চার বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও নদীর ভর্তি অনিশ্চিত

Icon

মো. পলাশ রহমান, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম

চার বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও নদীর ভর্তি অনিশ্চিত

মহেশপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার নদী। ছোটবেলা থেকে সব পরীক্ষায় প্রথম হওয়াই যার নেশা। পিএসসি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি নজরুল সঙ্গীত, দেশাত্মবোধ গান, সেরা ছাত্রীসহ বিভিন্ন বিষয়ে ২০টিরও বেশি পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে।

এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগও পেয়েছেন তিনি। তবু তার শুধু ভর্তি নয়, লেখাপড়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অর্থাভাবে।

মেধাবী শিক্ষার্থী নদী মহেশপুর পৌর শহরের জলিলপুর হাজীপাড়ার দিনমজুর সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। কিভাবে মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে লেখাপড়ার খরচ জোগাবেন- এমন চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীর দরিদ্র বাবা-মা। তবে মেয়েকে এত দূর নিয়ে এসে কোনো অবস্থাতেই আর থেমে যেতে চান না তারা।
        
সানজিদা আক্তার নদী যুগান্তরকে বলেন, বাবা-মা দরিদ্র হওয়ায় আর দশজন শিক্ষার্থীর মতো সুযোগ সুবিধা পাইনি। তবে দিনে ৮-৯ ঘণ্টা লেখাপড়া করেছি। আমি আইন বিভাগে লেখাপড়া করে দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখি। আমার সফলতার পেছনে বাবা-মায়ের পাশাপাশি আমার শিক্ষকদেরও ভূমিকা রয়েছে। আমার দরিদ্র বাবা-মা অনেক কিছু দিতে না পারলেও আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

নদীর মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আল্লাহর রহমতে শত প্রতিকূলতা ও কষ্ট পেরিয়ে মেয়েকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও লেখাপড়ার খরচ কিভাবে জাোগাড় হবে এ চিন্তা যেন কিছুতেই মাথা থেকে নামছে না। মেয়ের ইচ্ছা দেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার। তার ইচ্ছাকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে থেমে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। তাই দেশের মানুষ যদি আমার মেয়ের পাশে দাঁড়াত তাহলে একটা দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নপূরণ হতো।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম