Logo
Logo
×

সারাদেশ

অদম্য মেধাবীর গল্প ঢাবিসহ ৫ প্রতিষ্ঠানে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত সোনিয়ার

Icon

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম

অদম্য মেধাবীর গল্প ঢাবিসহ ৫ প্রতিষ্ঠানে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত সোনিয়ার

চুয়াডাঙ্গার মেয়ে সোনিয়া আফরিন ভর্তি যুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় টাকার অভাবে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দিনমজুর বাবার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো বা সেখানে পড়ানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবুও সোনিয়ার দুচোখে অনেক স্বপ্ন, তিনি ভবিষ্যতে একজন দক্ষ বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করতে চান। এজন্য জেলা প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

অদম্য মেধাবী সোনিয়া আফরিন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর ছানোয়ার হোসেন ও গৃহিণী শাহানাজ পারভীনের একমাত্র মেয়ে। দুই ভাইবোনের মধ্যে সোনিয়া ছোট। বড় ভাই আবদুল্লাহও মেধাবী ছিলেন। তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাশ করেন। কলেজে ভর্তি হয়েও টাকার অভাবে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। সোনিয়ারও কি সেই অবস্থা হবে? চোখে-মুখে শঙ্কা সোনিয়ার! সোনিয়াদের নিজস্ব কোনো জমি নেই। পরের জমিতে ছোট্ট দুটি টিনের ছাপড়া ঘরে তাদের বসবাস। ২০২১ সালে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ থেকে এসএসসিতে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ এবং ২০২৩ সালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান তিনি। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ৩৬৬, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ইউনিটে ৪১১ ও সি-ইউনিটে ৪৩৫, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে ৭৭৩, বি-ইউনিটে ৬২ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-ইউনিটে ৮৯তম স্থান অধিকার করেছেন সোনিয়া। এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) সমাজবিজ্ঞান এবং আইন বিভাগেও ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

সোমবার বিকালে সোনিয়াদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের দুটি টিনের ছাপড়া ঘর (কুঁড়ে ঘর)। সেখানেই সোনিয়াসহ পরিবারের লোকজন বসবাস করেন। একটি ঘরে দেখা যায় সোনিয়া ছোট্ট একটি চৌকির ওপর বই ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফলাফল নিয়ে বসে আছেন। তার রুমে রয়েছে একটি ভাঙাচোরা টেবিল। সেখানেই তার স্কুল-কলেজের বই। তার অধিকাংশ বই অন্যের কিনে দেওয়া। সোনিয়ার চোখে অশ্রু ছলছল করছিল। তিনি জানান, আমি যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি, প্রত্যেকটায়ই চান্স পেয়েছি। কিন্তু আমার স্বপ্ন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বিসিএস ক্যাডার হতে চাই। 

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা যুগান্তরকে বলেন, মেধাবীদের জন্য আমরা ব্যবস্থা করি। খোঁজখবর নিয়ে দেখি তিনি যদি আমাদের কাছে আবেদন করেন আমরা ভর্তির ব্যবস্থা করব।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম