ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ভোগান্তি, নানা উদ্যোগ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১টি জেলায় প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া নৌরুটে এবার ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হবে না। এছাড়াও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে এই রুটে যাত্রী ও যানবাহন কম চলাচল করায় ভোগান্তির আশঙ্কা একেবারেই নেই বললেই চলে।
ঘাটের ফেরি ও লঞ্চে যাত্রী সাধারণের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে, ফেরি সার্ভিস, লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। যাত্রীদের পারাপারে ভোগান্তি যেন না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতদিয়া ঘাটের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পুলিশ, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চে যাতে যাত্রীদের পারাপারে কোনোরকম ভোগান্তি না হয় সেদিকেই লক্ষ্য রেখেই তারা সক্রিয় রয়েছেন। ঘাটে বিভিন্ন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
দৌলতদিয়া ঘাট নৌ পুলিশের এসআই (ভারপ্রাপ্ত ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, নৌপথের স্পিডবোটে চুরি, ডাকাতি ও বাল্কহেড চলাচলের বিষয়টি নিয়ে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়াও ফেরিতে জুয়া খেলা বন্ধ করতে কাজ করে চলেছি। অন্যদিকে সড়ক পথে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট মালিক সমিতির প্রতিনিধি মো. মোফাজ্জল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দৌলতদিয়া-পাঁটুরিয়া নৌরুটে এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে বলে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি যেন না হয় সেটা মাথায় রেখে আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে ২০ রমজানে ঘাটে আমাদের মোট ১৩টি ফেরি ও তিনটি ঘাট চালু রয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আরও দুইটি ফেরি বাড়িয়ে মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করবে। তবে পরিবহণ ও ফেরিতে যারা কর্মরত থাকবেন তাদের নির্দিষ্ট পোশাক ও পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।