মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস
স্বাস্থ্য সনদে টাকা নিচ্ছেন ‘বড় বাবু’
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:২১ পিএম
স্বাস্থ্য সনদ প্রদানে ঘুস নেওয়ার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলেও সিভিল সার্জন কোনো বিভাগীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি। অভিযুক্ত মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান অফিস সহকারী (বড় বাবু) খলিলুর রহমান।
তিনি দাপটের সঙ্গে বলছেন, সিভিল সার্জনের নির্দেশেই ১২ বছর ধরে স্বাস্থ্য সনদের টাকা নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা ও শোনা যায়, দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য একদল যুবক ‘বড় বাবু’র রুমে সনদ পেতে দেনদরবার করছেন। যারা প্রতি সনদে ৭০০ করে টাকা দিচ্ছেন তাদের সনদ দেওয়া হচ্ছে। আর যারা ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের সনদ ফাইলবন্দি করা হচ্ছে। ৭০০ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করা এক যুবকের আপত্তির মুখে তাকে সিভিল সার্জনের রুমে নিয়ে যেতে দেখা যায়। কোরিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়াটি পাঁচটি ধাপে শেষ হয়। প্রথমে অনলাইন নিবন্ধন। এরপর লটারি করে বোয়েসেল। বিজয়ীদের কোরিয়ার ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। এটি পাশ করলে দক্ষতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এরপর পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভিসার আবেদন করা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোরিয়াগামীদের মধ্যে এক যুবক জানান, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বিদেশ চলে যাব, তাই কোনো ঝামেলা না করে ৭০০ করে টাকা খলিলকে দিই। তারপর তিনি আমাদের রিপোর্ট দেন। যোগাযোগ করা হলে অফিস সহকারী খলিলুর রহমান জানান, সিভিল সার্জনের অনুমতি নিয়েই ২০১২ সাল থেকে সব ধরনের সাস্থ্য সনদে টাকা নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য সনদের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হয় কী না জানতে চাইলে তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দিন আহমেদের কাছে টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটার নিয়ম আমার জানা নেই। জেনে জানাব। আর আমি সম্প্রতি মেহেরপুরে যোগদান করেছি। আপনাদের অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।’