Logo
Logo
×

সারাদেশ

এএসআই’র বিরুদ্ধে অভিযোগ

গাজীপুরে নারীকে মারধর, টাকা দাবি অতঃপর মামলা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, গাজীপুর 

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম

গাজীপুরে নারীকে মারধর, টাকা দাবি অতঃপর মামলা

গাজীপুরে এক নারীকে আটক ও মারধরের পর পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে সদর থানার এএসআই জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, চাহিদা অনুযায়ী কম টাকা পেয়ে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগরীর লক্ষ্মীপুরা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি, ওই নারী একজন মাদক ব্যবসায়ী।

ভিকটিম তাহমিনা বেগমের স্বামীর নাম জুলহাস। তিনি পুলিশ পাহারায় গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ছেলে জুয়েল রানা বলেন, আমি চার বছর ইন্টারনেটের ব্যবসা করি। এর মধ্যে রিপন নামে এলাকার এক ব্যবসায়ী লাইন চালাবে না বলে আমার কাছে ৩৫টি লাইন বিক্রি করে। এর কিছু দিন পর রিপনের ভাই মিজান আমাকে ব্যবসা দিয়ে দিতে বলে। আমি অস্বীকার করলে হুমকি দেয় এবং পুলিশের মাধ্যমে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখায়। ২৬ মার্চ রাতে আমার মা আমার বোনের কাপড়ের দোকানে বসেছিলেন। এমন সময় এএসআই জহিরুল আমার মাকে দোকান থেকে ধরে নিয়ে যান। পরে আমাকে বলেন-তোর মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছে হেরোইন পাওয়া গেছে। ৫ লাখ টাকা দিতে পারলে ছেড়ে দেব। না হলে মাদক মামলা দিয়ে চালান দেব। আমরা মা ও ছোট বোনের গহনা বন্ধক রেখে এক লাখ ৭ হাজার টাকা এএসআই জহিরুলের কাছে দেই। পরদিন সকালে ছেড়ে দেওয়ার কথা। থানায় গিয়ে দেখি ২৭ গ্রাম হেরোইন দিয়ে চালান দেবে। এ খবর শুনে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি মিথ্যা। তাহমিনার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আমি কোনো টাকা নেইনি। আমি তাকে মামলা দিয়েছি। এজন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তার মেয়েও মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম