Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাংলাদেশের যে মসজিদে মাত্র দুইজন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন (ভিডিও)

Icon

মনিকা চৌধুরী, বরিশাল

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম

বাংলাদেশের যে মসজিদে মাত্র দুইজন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন (ভিডিও)

বহু বছর ধরেই বিষয়টি নিয়ে চলে আসছে বিতর্ক। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদের অবস্থান কোথায়? ইন্টারনেট ঘাঁটলে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদ হিসেবে দেখানো হয় ভারতের হায়দ্রাবাদে থাকা জিন মসজিদের নাম। 

তবে এর চেয়েও ছোট মসজিদের সন্ধান মিলেছে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চাঁদের হাট গ্রামে। দৈর্ঘ্যে সাড়ে ৫ ফুট আর প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট আয়তনের এই মসজিদে একসঙ্গে মাত্র দু’জন মুসল্লি আদায় করতে পারেন নামাজ। যদিও এখানে হয়না ৫ ওয়াক্তের নামাজ, তবে যারা আসেন তারা আদায় করেন নফল কিংবা মানতের নামাজ। 

ঠিক কত বছর আগে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে তার সঠিক কোন ইতিহাস পাওয়া না গেলেও স্থানীয়দের মতে, এর বয়স কম করে হলেও ৫০০ বছর। মসজিদটির নির্মাণ নিয়েও রয়েছে নানা মত আর বক্তব্য। কেউ কেউ বলেন এটা গায়েবি মসজিদ। কোন এক রাতে মাটি ফুঁড়ে বের হয়েছে। 

কারো মতে, এক রাতের মধ্যে গায়েবি নির্দেশে নির্মিত হয়েছে এই মসজিদ। তবে পুরাতাত্ত্বিকদের ধারণা, পর্তুগিজ আমলে এটি নির্মিত। মসজিদের নকশায় তেমনই ছাপ পাওয়া যায় এখানে। 

এতো ছোট কেন মসজিদ তা নিয়েও রয়েছে তাদের তাদের ব্যাখ্যা। কোন বিত্তশালী কিংবা জমিদার শ্রেণীর কেউ তার নিজের নামাজ পড়ার জন্য হয়তো এটি নির্মাণ করেছিলেন।

শত শত বছরের পুরোনো এই মসজিদকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে চালু আছে নানা কল্প কাহিনী। মসজিদের পাশেই থাকা পুকুরে নাকি একসময় ভাসতো সোনার নৌকা। বড় ধরনের খাওয়া দাওয়ার আয়োজনে পুকুর থেকে উঠে আসতো সোনা রুপার থালা গ্লাস। 

মসজিদটি ঘিরে থাকা বিশালাকৃতির লাহুর গাছের পাতা ছেড়া বা ডাল পালা ভাঙলে পড়তে হয় মহা বিপদে। মসজিদের পাহাড়ায় বিশালাকৃতির দু’টি সাপ থাকার দাবিও অনেকের। এসবের সত্যতা পাওয়া না গেলেও মসজিদ ঘিরে মানত করলে তা পূরন হয় এমনটা বলছেন স্থানীয়রা।

বরিশাল নগরী থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মসজিদ দেখতে প্রায় প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন পর্যটকরা। তাদের মানত আর দানের টাকায় চলে মসজিদের ছোট-খাট সংস্কার আর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ। 

হায়দ্রাবাদের জিন মসজিদ নয়, বরিশালের এই গায়েবি মসজিদকে দেওয়া হোক পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদের স্বীকৃতি, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। 


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম