Logo
Logo
×

সারাদেশ

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্লটের জামানত ফেরতে টালবাহানার অভিযোগ

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৪, ১০:২০ পিএম

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্লটের জামানত ফেরতে টালবাহানার অভিযোগ

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজশাহী ও খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অধীন দুটি আবাসিক এলাকার মোট পাঁচটি প্লটের লটারি হয়েছে গত ৫ মার্চ ঢাকায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আবেদনকারীদের জামানতের টাকা ফেরত দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

আবেদনকারীরা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে ঘুরছেন জামানতের টাকা ফেরতের জন্য। কিন্তু কবে নাগাদ জামানতের টাকা তারা ফেরত পাবেন তা নির্দিষ্ট করে বলছেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

আবেদনকারীরা বলছেন, জামানতের টাকা আটকে থাকায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জামানত ফেরত দিতে টালবাহানা করছেন।

ভুক্তভোগী আবেদনকারীরা জানান, গত নভেম্বরে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অধীন মোট ৫টি প্লটের আবেদন গ্রহণ করা হয়। এসব প্লট পেতে দুই শতাধিক আবেদনকারী প্রসপেক্টাস কিনে আবেদন করেন। প্রতিটি আবেদনের সঙ্গে কাঠা প্রতি দেড় লাখ টাকার করে জামানত দিতে হয়। শুধু জামানত বাবদ কর্তৃপক্ষের হিসাবে জমা হয় ১০ কোটি টাকার মতো। জামানতের এই পরিমাণ টাকা গত ৫ মাস ধরে কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে। প্লট আবেদনে বলা হয়েছিল লটারি শেষ হলেই জামানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু লটারির ২০ দিন পার হলেও তাদেরকে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।

রাজশাহীর বাসিন্দা ইকবাল হোসেন জানান, তিনি নিজের ও  এক আত্মীয় নামে রাজশাহীর তেরখাদিয়া প্রকল্পের দুটি প্লটের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নিয়মানুযায়ী রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে প্লটের লটারি না করে ঢাকায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে লটারি করা হয় গত ৫ মার্চ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে লটারির এক সপ্তাহ পরও লটারির ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পারি কর্মকর্তাদের আত্মীয় স্বজনরাই পেয়েছেন রাজশাহীর বহুমূল্যের দুটি প্লট। কিন্তু লটারি শেষ হলে আমরা রাজশাহী বিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করি জামানতের টাকা ফেরত নেবার জন্য। তাড়াতাড়ি জামানত ফেরত দেওয়া হবে বলা হলেও আবেদনকারীরা ঘুরে ঘুরেও ফেরত পাচ্ছেন না। 
         
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু হোরায়রার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরে একটি শিশু জবাব দেন সেটি কর্মকর্তার নম্বর নয়। ফলে নির্বাহী প্রকৌশলীর মতামত পাওয়া যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম