৭ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুপার বোর্ড কারখানার আগুন, আহত ৭
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা চেষ্টার পরও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদীতে সুপার বোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহত সাতজনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ইসমাইল, শরীফুল ও হিরন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির পাটের গোডাউনে আগুন দেখতে পান কর্মরত শ্রমিকরা। সেখান থেকে আগুন নদীতে নোঙর করে রাখা একটি পাটখড়িবোঝাই ট্রলারে লেগে যায়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে। তবে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পার্টিকেল বোর্ড, পাটখড়ি, প্লাস্টিকের দরজা ও প্লাস্টিকের পাইপের মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে সরু রাস্তা আর পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
ঢাকা বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন বলেন, দুপুর ১টা ১২ মিনিটে আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। প্রথমে আমাদের গজারিয়া স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে। ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও ১০টি ইউনিট অগ্নিনির্বাপণের কাজে যোগ দেয়। বিকাল ৪টার দিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ফোম টেন্ডার এবং রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট নিয়ে আসি আমরা। আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছি, তবে এখনো পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ ব্যাপারে আমরা একাধিকবার তাদের সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। দুপুর আড়াইটা থেকে আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি।