Logo
Logo
×

সারাদেশ

কৃষিজমিতে পুকুর খনন নিয়ে ফেসবুক লাইভে এমপির ক্ষোভ

Icon

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম

কৃষিজমিতে পুকুর খনন নিয়ে ফেসবুক লাইভে এমপির ক্ষোভ

নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকার কোনো আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হয়ে নানা নির্দেশনা দেওয়ার পরও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে মাটিকাটা। এমন অবস্থায় ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
 
শুক্রবার বিকালে সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী তার ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে বলেন, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম— বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরের মাটি সোনার চেয়ে খাঁটি। এই মাটির একটি টুকরোও আমরা কাটতে দেব না। আমার মা-মাটিকে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে এটাই সত্য যে, হাজারও চেষ্টার পর বড়াইগ্রামের ৯৫ ভাগ মাটিকাটা বন্ধ করতে পারলেও অদৃশ্য কারণে গুরুদাসপুরে তা অনেকটাই বন্ধ করতে পারিনি। 

সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, যেখানে হাইকোর্টের নির্দেশ বন্ধ থাকবে, ডিসির নির্দেশ বন্ধ থাকবে, যেখানে প্রশাসনের বন্ধ করার কথা, পুলিশ বাহিনীর বন্ধ করার কথা; সেখানে আইন অমান্য করে হাজার হাজার বিঘা জমি, ভুট্টার জমি, ধানের জমি, গমের জমি নষ্ট করে ভূমিদস্যুরা মাটি কেটে নিয়ে ইটের ভাটায় দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মের কৃষকরা আহার জোগাবে যে মাটি থেকে, সেই মাটি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। আমি দায়িত্বশীল সবার প্রতি অনুরোধ করছি— আপনারা এগুলো বন্ধ করুন। এগুলো বন্ধ না করলে আমি জনগণকে বলতে বাধ্য হব— পেট্রল দিয়ে সমস্ত ভেকু মেশিন ও ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিতে। মামলা-হামলা যা আছে তা আমি দেখব বা আমাদের রাষ্ট্র দেখবে। কেননা রাষ্ট্রের সম্পদ এই দস্যুরা দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে নষ্ট করছে। এই সম্পদ আমরা নষ্ট হতে দেব না। ক্ষণিকের লাভের জন্য স্থায়ীভাবে আমি গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের কৃষকদের ভিক্ষুকে পরিণত করতে পারি না।

সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘আমি ইউএনও-এসিল্যান্ড, ওসি থেকে শুরু করে সব দায়িত্বশীলকে বলেছি— (মাটিকাটা) বন্ধ করার জন্য। আমার কথা হলো— আইন যদি বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তা হলে আপনারা দায়িত্ব ছেড়ে দেন, অন্য জায়গায় ট্রান্সফার নিয়ে চলে যান, এখানে তো আপনাদের কাজ নাই। আপনাদের কাজ হলো আইনের বাস্তবায়ন করা। আইনের বাস্তবায়ন করতে না পারলে থাকার দরকার কি এখানে।’ 

এমপি বলেন, জনগণ যদি ক্ষিপ্ত হয়ে যায় তা হলে পুলিশ বাহিনী, সিভিল প্রশাসন বা আমি নিজেও তাদের দমন করতে পারব না। জনগণ বিক্ষুব্ধ হলে একাত্তরে দেখিয়েছে কীভাবে দেশকে স্বাধীন করতে হয়। 

সংসদ সদস্যের এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শনিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু বলেন, আমরা বড়াইগ্রামে পুকুর খনন বন্ধে তৎপর রয়েছি। আবাদি জমিতে কোনোভাবেই কাউকে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। 

গুরুদাসপুরের ইউএনও সালমা আক্তার বলেন, এমপি কেন এটা বলেছেন সেটা উনিই ব্যাখ্যা করতে পারবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি, এখন এসিল্যান্ড নেই, আমি একা আছি। যেখান থেকে খবর পাচ্ছি সেখানেই যাচ্ছি। এগুলো বন্ধে সবার সহযোগিতা দরকার। আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বলেছি, গ্রামপুলিশদের বলেছি। সবাই যদি সহযোগিতা করে তা হলে আমার মনে হয়, মাটিকাটা আমরা বন্ধ করতে পারব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম