বিধবার বিদ্যুৎ বিল ১৫০ টাকা হয়ে গেল সাড়ে ৫ হাজার টাকা
চরফ্যাশন দক্ষিণ (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৫ এএম
প্রতীকী ছবি
দুজনের সংসার বিউটি বেগমের। থাকেন ছোট একটি ঘরে। দুটি বাতি ও একটি ফ্রিজ ব্যবহার করেন তিনি। বিগত মাসগুলোর মতো স্বাভাবিক নিয়মে বিদ্যুৎ বিল আসার কথা সামান্যই। তবে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বিলের কাগজ হাতে পেয়ে মাথায় হাত। বিল এসেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা এলাকার বাসিন্দা বিউটি বেগম অনেক কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে দিন কাটান।
বিধবা বিউটি বেগমের চার মেয়ে নিয়ে ছোট্ট এই সংসারটি চালায়। তার এক মেয়ে ঘরে থাকেন তিন মেয়ে বিবাহ দিয়েছেন বেশিরভাগ সময় তিনি জামাই বাড়িতে থাকেন।
যেখানে তার বিগত সময়ে বিদ্যুৎ বিল আসত ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এবং তার ২০২০ সাল থেকে-২১-২২-২৩ সাল পর্যন্ত ঘরে বিদ্যুতের রিডিং আসত সর্বোচ্চ ৫৫ ইউনিট। হঠাৎ করে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ২ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫ হাজার ২৭৫ টাকা। যার হিসাব নং ১৭৪০ ও বই নং ৫২১।
ওই নারীর বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন নজরুল নগর ইউনিয়নে। ছোট মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে মাঝে মধ্যে বসবাস করেন তিনি। হঠাৎ করে বিদ্যুতের এমন অস্বাভাবিক বিলে দিশেহারা তিনি। বিলের কাগজ নিয়ে এ বাড়ি ও বাড়ি করে অস্থিরতায় দিন কাটছে তার। দুই দিন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির দক্ষিণ আইচা সাব জোনাল অফিসে গেলেও কোনো সমাধান মেলেনি তার। তিনি এর সমাধান দাবি করে ঝামেলা মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিউটি বেগম জানান, বিগত সময়ে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসত ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। হঠাৎ করে মিটার সমস্যা হওয়ার পর থেকে ফেব্র“য়ারি ও মার্চ মাসে ৫ হাজার ২৭৫ টাকা বিলের কাগজ এবং কাগজ নিয়া দুইদিন অফিস গেছি। কোনো কথায় শোনে না অফিস কর্তৃপক্ষ। ৫২৭৫ টাকা পরিশোধ করতে বলছে তারা। আমি গরিব ও বিধবা মহিলা কোনো ইনকাম নেই, এত টাকা কেমনে পরিশোধ করি। তোমরা এটার সমাধান করি দ্যাও।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু সাঈদ আল মোস্তাক বলেন, মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল হয়েছে।