চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে নববধূকে নিতে এসে অভিমানে বিষপানে মিলন মুন্সী (২৩) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর উত্তরপাড়া গ্রামের প্রধানিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিলন উপজেলার ৪নং কালোচোঁ ইউনিয়নের উড়পুর মুন্সীর বাড়ির বাদল মুন্সীর ছেলে। ওই দিন স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে নিতে আসেন স্বামী মিলন মুন্সী।
  
মিলন মুন্সীর বাবা বাদল মুন্সী যুগান্তরকে বলেন, গত ৫ মার্চ আমার ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় আকলিমা আক্তারের। বিয়ের আড়াই দিন পর বাবার বাড়িতে ফিরে গেলে আর আসতে রাজি হয়নি ছেলের বউ। পরে বৃহস্পতিবার আমার ছেলে তার বউকে নিতে তার শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে তার শাশুড়ি শাহানারা বেগম (শানু) তার মেয়েকে দেবে না বলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ছেলে পকেট থেকে বিষের বোতল নিয়ে খেয়ে ফেলে। এ সময় স্থানীয় চিকিৎসা শেষে কুমিল্লায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

আকলিমা আক্তারের বড় বোন আয়শা আক্তার ও তার বাবা আব্দুর রহিম বলেন, মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারি ছেলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যার কারণে এর আগেও দুবার তারা আকলিমাকে নিতে আসছে, আমরা দিইনি।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ যুগান্তরকে বলেন, মূলত এই ছেলে আগে একবার গ্রেফতার হয়েছে। তার বাবাকেও মারধর করত। সে নেশাগ্রস্ত থাকে। যার কারণে উত্তেজিত থাকে এবং মানসিক সমস্যাও রয়েছে।