হঠাৎ রংপুর নগরীসহ জেলাজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে ভারি বৃষ্টি না হলেও রংপুর নগরীসহ বিভিন্ন সড়ক ধোয়া হয়েছে ঠিকই। আর এতেই স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। ধুলোবালি দূর হয়েছে কয়েক দিনের জন্য। এতে করে প্রাণ ফিরেছে প্রকৃতিতে।
রংপুরের আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ রকম গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ২১ মার্চ পর্যন্ত থাকবে।
বুধবার রংপুর নগরীর তপোধন, সাহেবগঞ্জ, পায়রা চত্বর, শাপলা চত্বর, লালবাগ, মাহিগঞ্জ, মডার্ন মোড়সহ জেলার কাউনিয়া, পীরগাছা, মিঠাপুকুরসহ সদরের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতের শেষে পবিত্র মাহে রমজান শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়ছিল তাপমাত্রা। এই হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় সেই তাপমাত্রা অনেক কমেছে। তাপমাত্রা নিয়ে খুব বেশি কষ্ট মনে না হলেও রংপুর নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে ধুলোবালির কারণে অস্বস্তিতে ছিল। বৃষ্টি হওয়ায় সেই ধুলোবালি আর থাকছে না। রুক্ষ প্রকৃতি হবে সতেজ এটি সবচেয়ে বেশি স্বস্তির বিষয়।
এদিকে রংপুর নগরীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও ছিলেন। বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা। যদিও সাময়িক সমস্যা তৈরি করেছে, তারপরও এই বৃষ্টিকে স্বস্তিদায়ক বলছেন নগরবাসী।
অন্যদিকে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষরা। অনেকেই কাজ করতে পারেননি। কাজ থাকলেও বৃষ্টির কারণে অনেকে কাজে নেননি তাদের। আবার অনেককে বৃষ্টির মধ্যেই মাথায় পলিথিন বেঁধে কাজ করতে দেখা গেছে।
সেই সঙ্গে নগরীতে অন্যান্য দিনের মতো আজকে তেমন মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। যার ফলে দোকানপাটে বিক্রি নাই বললেই চলে। অনেকে দেরিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। সকাল থেকে তেমন ক্রেতা পাননি তারা। অন্যদিনের মতো সড়কেও তেমন যানজট দেখা যায়নি।
রংপুরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও ২১ মার্চের পর থেকে স্বাভাবিক হবে আবহাওয়া। তবে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।