সাগরে জেলিফিশের পরিমাণ বেড়ে গেছে, বিপাকে জেলেরা
মো. শাহ জামাল, কুতুবদিয়া
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:০২ পিএম
কক্সবাজারের কতুবদিয়ায় সমুদ্রসৈকতে জেলেদের জালে প্রতিদিন আটকা পড়ছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ। সমুদ্রে এ প্রজাতির প্রাণী বাড়ার কারণে জেলেরা মাছ শিকারে হিমশিম খাচ্ছেন। জেলিফিশের কারণে মাছ শিকার করতে না পেরে খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন দ্বীপের অসংখ্য জেলে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতের চরে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ পড়ে আছে। জেলিফিশের টেন্টাকল বা কর্ষিকার কাঁটার খোঁচা ত্বকে লাগলে বাজে একটা চুলকানি হবে- এই ভয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছেন না কুতুবদিয়ার বেশির ভাগ জেলে।
ট্রলার মাঝি মাহমুদ উল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, ফিশিং ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছি। কড়া লবণ পানি থেকে সৃষ্ট জেলিফিশ বা নুইন্ন্যা বেশি দেখা যাচ্ছে সাগরে। জালেও ধরা পড়েছে অসংখ্য জেলিফিশ। এ কারণে সাগরে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক জাতীয় সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক এম শহীদুল ইসলাম বলেন, গভীর সাগরে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে গেলে কম লবণাক্ত উপকূলে জেলিফিশ চলে আসতেই বালুতে আটকা পড়ে মরে যায়। সাগরে কাছিম কমে গেলে জেলিফিশের বিচরণ বেড়ে যায়।
উপজেলার মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব যুগান্তরকে বলেন, সাগরে জেলিফিশের পরিমাণ বেড়ে গেছে; যা মানুষের শরীরের সংস্পর্শে আসলে খুব অস্বস্তি হতে পারে। এ জেলিফিশের প্রধান খাদ্য হচ্ছে মাছ ও মাছের ডিম। যার কারণে সাগরে আগের তুলনায় মাছ কমে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সামুদ্রিক প্রাণী কাছিম কমে যাওয়া ও সামুদ্রিক দূষণের ফলে বিশ্বজুড়ে সাগরে জেলিফিশের বিস্তার বাড়ছে। এটি কিভাবে দূর করতে হবে এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি।