বরিশালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হয়েও দীর্ঘদিন বেকার থাকায় হতাশাগ্রস্ত যুবক শুভদ্বীপ কর্মকারের (২৬) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে নগরীর ঝাউতলা দ্বিতীয় গলিতে নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব মিস্ত্রি। শুভদ্বীপ ঝাউতলা এলাকার পক্ষাঘাতগ্রস্ত রনজিৎ কর্মকারের একমাত্র ছেলে। স্বর্ণা নামে শুভদ্বীপের একজন বড় বোন রয়েছেন।
স্বর্ণা বলেন, আমাদের বাবা দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমরা ঋণগ্রস্ত হয়ে মহাবিপদে রয়েছি। আমার একমাত্র ভাই শুভদ্বীপ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হয়েও চাকরি পাচ্ছিল না। সে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছে। শুভদ্বীপ হতাশায় ভুগছিল। সে কারণেই আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে।
শুভদ্বীপের মা বলেন, শনিবার রাতে সবাই খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাই। সকালে শুভদ্বীপের রুমের দরজায় আঘাত করলে তার কোনো সাড়া পাইনি। তখন দরজার ফাঁক দিয়ে শুভদ্বীপকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তখন চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব মিস্ত্রি বলেন, শুভদ্বীপকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভদ্বীপকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় আইনানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।