ময়মনসিংহে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম

ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম

হাইকোর্টের নির্দেশনা রমজানের প্রথম দিন থেকেই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। সেই খবরে মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি খুবই কম। তবে স্কুল বন্ধ থাকবে এ নির্দেশনা ছিল না।
স্কুল খোলা থাকবে কী থাকবে না, এটা নিয়েও ধূম্রজালে ছিলেন অভিভাবকরা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকেও স্কুল প্রধানদের কাছে কোনো নির্দেশনা ছিল না বলে জানা গেছে।
সকালে নগরীর সানকিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ শ্রেণিকক্ষ অনেকটা ফাঁকা। সোনামণিদের কলকাকলি নেই শ্রেণিকক্ষে বা স্কুল প্রাঙ্গণে। অনেকটা নীরবতায় স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাশ চলছে।
প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনার কারণে রমজানের প্রথম দিনে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম হয়েছে।
তিনি জানান, স্কুলে ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ১১টি শাখায় ৪শ শিক্ষার্থী রয়েছে। রমজানের প্রথম দিনে শ্রেণি শিক্ষকদের সহযোগিতায় টেলিফোনে অনেক অভিভাবককে স্কুল খোলা রয়েছে বলে অবহিত করার পর শিক্ষার্থী উপস্থিত কিছুটা বাড়ে। মঙ্গলবার শেষপর্যন্ত ১৭৮ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল; যা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় কম।
তিনি অভিভাবকদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, রোজাকে ঘিরে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে অপারগতা দেখা গেছে।
নগরীর গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও একই অবস্থা দেখা যায়। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে অন্য দিনের তুলনায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মালা ভৌমিক জানান, উপস্থিতি কম হওয়ায় অভিভাবকদের স্কুল খোলা থাকার বিষয়টি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির জন্য শ্রেণি শিক্ষকরা মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা রাখি কাল থেকে উপস্থিতি বাড়বে।
জেলার অতিরিক্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকী যুগান্তরকে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনায় অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাননি। তবে স্কুল খোলা ছিল। স্কুল বন্ধের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা না থাকায় যথারীতি স্কুল খোলা থাকবে।