কুমিল্লায় গোলাগুলি, ময়মনসিংহে বিড়ম্বনায় ভোট শেষ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
কুমিল্লায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি আর ময়মনসিংহে ইভিএমে ভোট দিতে ভোগান্তির মধ্যে শেষ হয়েছে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে গণনা।
দুই সিটিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
ভোট শুরুর পর কুমিল্লায় কয়েকটি কেন্দ্রে সহিংসতায় উত্তেজনা ছড়ায় এবং প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল বেশি। তবে ময়মনসিংহে গোলযোগ না থাকলেও ভোটারদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বেশি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলিতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
এছাড়া কুমিল্লা নগরীর হোচ্ছাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগসহ ভোটের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
অপরদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএমে ধীরগতিতে চলেছে ভোটগ্রহণ।
ইভিএম মেশিনে বেশ কয়েকজন নারীকে আঙুলের ছাপ ঠিকমতো না ওঠায় ভোট দেওয়ার সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র এনে তাদের ভোট দিতে বলা হয়। এছাড়া বয়স্ক পুরুষদের ইভিএম নিয়ে ধারণা না থাকায় ভোট দিয়ে গিয়ে তারা বেশি সময় নেন।
ময়মনসিংহে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগের। এর বাইরে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী, কেবল তিনিই দলীয় প্রতীকে লড়ছেন।
কুমিল্লায় চার প্রার্থীর মধ্যে দুজনই আওয়ামী লীগের। ভোট বর্জন করা বিএনপির দুই বহিষ্কৃত নেতাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে আছেন। এই সিটিতে দলীয় প্রতীকে কারো প্রার্থী নেই।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, প্রথম চার ঘণ্টায় দুই সিটিতে অন্তত ২৬% ভোট পড়েছে। দিন শেষে তার ৫০% ছাড়িয়ে যাবে বলে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা।
কুমিল্লা সিটিতে ১০৫টি ভোটকেন্দ্র। ভোটার দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। প্রার্থীরা হলেন- কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা (বাস) এবং কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি)।
ময়মনসিংহ সিটিতে ১২৮টি ভোটকেন্দ্র। ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। প্রার্থীরা হলের- মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু (দেয়াল ঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া প্রতীক), শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কী টজু (হাতি প্রতীক), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক (হরিণ প্রতীক) এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল (লাঙ্গল প্রতীক)।