ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ভোট দিতে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগছে ভোটারদের। সময় বেশি লাগায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ফিরে যেতে দেখা যায় অনেককে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে চর ঈশ্বরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষিপাড়া এলাকা থেকে ভোট দিতে আসছেন কাকলি আক্তার। তিনি বলেন, ইভিএমে এবার প্রথমবার ভোট দিয়েছি। বুঝতে না পারায় ভোট দিতে অন্তত ২০ মিনিট সময় লেগেছে। আমি মেশিনের চাইতে ব্যালটে ভোট দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
আরও পড়ুন: ‘বাসায় গিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আসেন’, ভোটারদের প্রিসাইডিং অফিসার
একই এলাকার তানজিদা আক্তার বলেন, বাইরে থেকে বলে দিছে কীভাবে ভোট দিতে হবে। জীবনে প্রথম মেশিনে ভোট দিয়েছি। দেখিয়ে দেওয়ার পরও ভোট দিতে ২৫-৩০ মিনিট সময় লেগেছে।
কান্দাপাড়ার সালেহা বলেন, আঙুল মেশিনে রাখতেই ভোট হয়ে গেছে। তবে আঙুলের ছাপ না মিলায় অনেকের ভোট দিতে দেরি হচ্ছে।
ঋষিপাড়া থেকে ভোট দিতে আসছেন গোলাপি রানী সরকার। তিনি বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু ভোট দিতে পারছি না। যারা ভোট দিতে ঢুকে, তাদের বের হতে অনেক সময় লাগছে।
চর ঈশ্বরদিয়া পশ্চিমপাড়া থেকে ভোট দিতে আসছেন জরিনা বেগম। তিনি বলেন, বাড়িতে অনেক কাজ রেখে ভোট দিতে আসছি। কিন্তু দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পার হলেও ভোট দিতে পারছি না। বেশি দেরি হলে ভোট না দিয়েই চলে যাব।
একই ওয়ার্ডের ঈশ্বরদিয়া মধ্যপাড়া এলাকার আমেনা বেগম। তিনি খুব রেগে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। কেন কেন্দ্র থেকে চলে যাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই সকালে ভোট দিতে আসছি। এখনো দিতে পারিনি। তাই ভোট না দিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছি।
ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার রোকসানা পারভীন বলেন, ভোটাররা কীভাবে ভোট দেবে এটা অনেকেই বুজে না। অনেককে আমরা বুজিয়ে দিচ্ছি। তার পরও ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। তা ছাড়া অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে দেরি হওয়ার একটা কারণ।
একই কেন্দ্রের অন্য কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তসলিম বেগম বলেন, অনেক বয়স্ক নারীর আঙুলের ছাপ মিলে না। কয়েকবার করে ছাপ দেওয়ার পর অনেকের ভোট হচ্ছে। তাই ভোট দিতে দেরি হচ্ছে।
চর ঈশ্বরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন বলেন, নারীরা ইভিএম না বোঝার কারণে ভোট দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে ইভিএমে কোনো সমস্যা নেই। এ কেন্দ্রে দুই ঘণ্টায় ৪৪০ ভোট পড়েছে।