কোস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে গোপনে ভারতীয় শাড়ি বিক্রির অভিযোগ
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
বরিশালে জব্দ করা ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কোস্ট গার্ডের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুটি ট্রাকে নগরের রসুলপুর কোস্ট গার্ড স্টেশন থেকে শাড়ি, থ্রিপিস নিয়ে গৌরনদীতে পাচারকালে নগরের নাজিরপোলে সাবেক এক আনসার সদস্যসহ কয়েকজন যুবক ট্রাক দুটি আটক করে। খবর পেয়ে রাতেই মোটা অঙ্কের রফাদফায় মালামালসহ ট্রাক দুটি ছাড়িয়ে নেন গৌরনদীর ভাই ভাই মার্কেটের ব্যবসায়ী ভোলা সাহা।
তার দাবি, কোস্ট গার্ডের কাছ থেকে টেন্ডারে শিড়ি, থ্রিপিস ক্রয় করেছেন তিনি। তবে উলটো কথা বলেছেন কোস্ট গার্ড বিসিজি স্টেশন বরিশালের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হারুন অর রশিদ। তার দাবি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে আটক করা হয় দুই ট্রাক শাড়ি, থ্রিপিস। তবে মালামালের বৈধ কাগজপত্র থাকায় তা ছেড়ে দেন তারা। এখানে গোপনে বেচাবিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদিকে চোরাই মালামাল আটকে আদায় করা টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন আনসার সদস্য ও যুবকরা। আর সেখান থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসে পাচারকালে ১০ কোটি টাকার শাড়ি, থ্রিপিস জব্দ করে কোস্ট গার্ড। এর মধ্য থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের শাড়ি, থ্রিপিস সরিয়ে রাখা হয়। যা ২০-২৫ দিন পূর্বে বাকেরগঞ্জের বাসিন্দা জয়দেবের মাধ্যমে গোপনে অবৈধভাবে বিক্রি করা হয় গৌরনদীর ব্যবসায়ী ভোলা সাহার কাছে। সেই মালামাল বুধবার রাত ১২টার পরে নগরীর রসুলপুর গোস্ট গার্ড স্টেশন থেকে ভোলার মালিকানাধীন ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভোলা বলেন, কোস্ট গার্ডের কাছ থেকে লটের শাড়ি, থ্রিপিস কিনেছি। গত রাতে ট্রাকে আনার সময় কয়েকজন যুবক সাংবাদিক ও আনসার পরিচয়ে আটকায়। পরে তাদের কিছু টাকা দিলে ছেড়ে দেয়।
তবে কোস্ট গার্ড বিসিজি স্টেশনের ওই কর্মকর্তা বলেন, ফেব্রুয়ারিতে জব্দ করা মালামালগুলো থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর প্রমাণ আছে। তবে যে দুই ট্রাক শাড়ি, থ্রিপিস নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটা বুধবার রাতেই ধরা হয়েছিল।