মনপুরায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক
মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
মনপুরায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট পাহারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে।
সংঘর্ষে মেম্বার প্রার্থী, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ও কনস্টেবলসহ প্রার্থীদের অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৯ কর্মী-সমর্থককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষে আহত উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী খোরশেদ আলম, বদরুল আলম, আবদুর রহিম, মো. ফারুক, মো. মনজু, বাদশা, জাফর, মো. সোহাগ, মশু, শাহীন, শামীম, বাবুল, শামসু, রাসেদ, মিলন, কাইয়ুম, মিজান, কাদের, সাইদ, রাসেল, রফিক, তবারক আলী, জালাল আহমেদ, আবদুল গফুর, গেদু, মাহে আলম, বাবু ও আনিসুলের নাম পাওয়া যায়। এদের সবার বাড়ি উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে।
এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় ভোটাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনপুরা ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে ভোটকেন্দ্র পাহারাকে কেন্দ্র করে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী খোরশেদ আলমের সমর্থকদের সঙ্গে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লোকমান হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমানত উল্লা আলমগীরের সমর্থকরা এসে মেম্বার পদপ্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিলে হট্টগোল শুরু হয়। পরে দফায় দফায় রাতভর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় মেম্বার পদপ্রার্থী, দুই পুলিশ সদস্যসহ প্রার্থীদের অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হন। বুধবার সকালে রাতের সংঘর্ষের জের ধরে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা যুগান্তরকে নিশ্চিত করে মনপুরার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের পরদিন সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হন।
ওসি আরও জানান, পুলিশ আহত হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে চিহ্নিত ১৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ইউএনও জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রার্থীদের সর্তক করে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে ভোট করার নির্দেশনা দেন।