হবিগঞ্জে নদী থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হওয়া লাশটির পরিচয় মিলেছে। লাশটি ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামের। তিনি বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে।
চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। রোববার তার পরিবারের সদস্যরা সদর থানায় গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে শনিবার সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নে করাঙ্গী নদীর হুরুমোড়া হাওড়ের গাতাবের নামক স্থানে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, পরিবারের সদস্যরা রোববার থানায় এসে লাশটি শনাক্ত করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি।
তিনি বলেন, সাইফুল ছাত্রদল নেতা কি-না তা জানা যায়নি।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন জানান, সাইফুল ইসলাম বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। তিনি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম। রোববার সদর থানার ফেসবুক পেইজে দেওয়া ছবি দেখে তার স্বজনরা থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নে করাঙ্গী নদীর হুরুমোড়া হাওড়ের গাতাবের নামক স্থানে বস্তাবন্দি একটি লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা বিষয়টি সদর থানায় অবগত করলে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করার জন্য বহুমুখী তৎপরতা চালায় পুলিশ। থানার ফেসবুক পেইজে ছবি দিয়ে প্রচরণা চালানো হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাওয়া হয়। অবশেষে রোববার তার পরিচয় পাওয়া যায়।