সফটওয়্যারের মাধ্যমে দুই মিনিটেই চোরাই মোবাইল ফোনের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) পরিবর্তন করে ফেলে চক্রের সদস্যরা। এ চক্রে আছে বিদেশিও।
সংঘবদ্ধ চক্রটির মূলহোতাকে আটক করেছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫২টি মোবাইল ফোন ও আইএমইআই জালিয়াতিতে ব্যবহৃত দুটি ল্যাপটপ।
আটক মো. সরোয়ার হোসেন সুজন ওরফে শাহিনের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। বুধবার গভীর রাতে তাকে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার মৌসুমী আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করা হয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর-পশ্চিম) মো. আলী হোসেন জানান, আটক সরোয়ার ৫০ হাজার টাকায় দুটি সফটওয়্যার কিনে তার ল্যাপটপে ইনস্টল করেছেন। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তিনি দুই মিনিটে মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর বদল করে দিতে পারেন।
নগরীর অলংকার শপিং সেন্টারে তার একটি দোকান রয়েছে। চোরাই মোবাইল ফোন বিভিন্ন জনের হাত ঘুরে তার কাছে আসে। তিনি এসব মোবাইল ফোন কম টাকায় কিনে তার দোকান ও অনলাইন শপের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া অনেকে সরাসরি তার কাছে মোবাইল ফোন এনে আইএমইআই পরিবর্তন করে নিয়ে যায়। এভাবে প্রতিদিন ৫০-৬০টি মোবাইল ফোনের পরিচিতি নম্বর পরিবর্তন করা হয়। এ কাজের জন্য সেট ভেদে ১ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।
তিনি জানান, জটিল আইএমইআই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সরোয়ার পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ান এক্সপার্টদের সাহায্য নেন।
পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোন হারানো বা চুরি হলে তা আইএমইআই নম্বরের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু যদি কোনো সেটের এই পরিচিতি নম্বরটি বদলে দেওয়া যায়, তাহলে সেটির অবস্থান আর খুঁজে বের করা সম্ভব হয় না।